অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করার পর বিবাহ চুক্তি | খন্দক ও হুদায়বিয়ার মাঝে ছোট ছোট অভিযান, বেশির ভাগ পণ্ডিতের মতে, যদি কোনো নারী ইসলাম গ্রহণ করেন এবং (ক) তাঁর স্বামী ইসলাম গ্রহণ না করেন, তাহলে স্ত্রীর ইদ্দতকালীন সময়ের পরে বিয়েটা ভেঙে (অবৈধ হয়ে) যায় ।
অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করার পর বিবাহ চুক্তি | খন্দক ও হুদায়বিয়ার মাঝে ছোট ছোট অভিযান | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

(খ) তাঁর স্বামী ইসলাম গ্রহণ করলে এবং
(খ-১) স্ত্রীর ইদ্দতকালীন সময়ের মধ্যেই যদি তাঁর ইসলাম-গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
তাহলে:
—স্বামী স্ত্রীকে পেতে চাইলে তাঁরা দেনমোহর কিংবা নতুন নিকাহ ছাড়াই দাম্পত্য জীবন চালিয়ে যেতে পারেন;
-স্বামী স্ত্রীকে আর না চাইলে তবে তা ভিন্ন বিষয় ।
(খ-২) স্ত্রীর ইদ্দতকালীন সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর ইসলাম-গ্রহণ সম্পন্ন
-স্বামী স্ত্রীকে পেতে চাইছেন, কিন্তু স্ত্রী এরই মধ্যে অন্য কাউকে বিয়ে হলে: করেছেন এবং নতুন স্বামীর সঙ্গে তালাকও হয়ে গেছে, তাহলে নতুন করে দেনমোহরসহ নিকাহ করতে হবে।
-স্বামী স্ত্রীকে পেতে চাইছেন, এবং স্ত্রী এর মধ্যে অন্য কাউকে বিয়ে করেননি, তাহলে নতুন করে দেনমোহরসহ নিকাহ করতে হবে (আবুল আসকে জয়নবের কাছে কোনো দেনমোহর ছাড়াই ফিরে যেতে দেওয়ার হাদিসটি থাকা সত্ত্বেও)।
-স্বামী তার স্ত্রীকে পেতে না চাইলে তা ভিন্ন বিষয় ।

তবে ইবনে তাইমিয়াসহ অল্প কিছু পণ্ডিত এই বিষয়ে একমত হননি। তাঁদের মতে, “এ রকম নারী একটি বিশেষ অবস্থার মধ্যে আছে। সে চাইলে তার ইদ্দতকাল শেষ হওয়ার পর যে কোনো মুসলিম পুরুষকে একটি নতুন নিকাহ এবং একটি নতুন দেনমোহরের মাধ্যমে বিয়ে করতে পারে। আবার তার স্বামী যদি ইসলাম গ্রহণ করে এবং ইতিমধ্যে বিয়ে না করে থাকে, তাহলে সে তার সাথে একটি নতুন নিকাহ কিংবা দেনমোহর ছাড়াই পুনরায় বৈবাহিক জীবন শুরু করতে পারে।”
ইবনে তাইমিয়াসহ ওই অল্প সংখ্যক পণ্ডিতের মতে, যদি কোনো নারী ইসলাম-গ্রহণ করেন এবং
(ক) তাঁর স্বামী ইসলাম-গ্রহণ না করেন, তাহলে স্ত্রীর ইদ্দতকালীন সময়ের পরে বিয়েটা ভেঙে (অবৈধ হয়ে যায় ।
(খ) তাঁর স্বামী ইসলাম-গ্রহণ করলে এবং
(খ-১) স্ত্রীর ইদ্দতকালীন সময়ের মধ্যেই যদি তাঁর ইসলাম-গ্রহণ সম্পন্ন হয়। তাহলে: —স্বামী স্ত্রীকে পেতে চাইলে তাঁরা দেনমোহর কিংবা নতুন নিকাহ ছাড়াই
দাম্পত্য জীবন চালিয়ে যেতে পারেন:
—স্বামী স্ত্রীকে আর না চাইলে তবে তা ভিন্ন বিষয় । (খ-২) স্ত্রীর ইদ্দতকালীন সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর ইসলাম-গ্রহণ সম্পন্ন হলে:
-স্বামী স্ত্রীকে পেতে চাইছেন, কিন্তু স্ত্রী এরই মধ্যে অন্য কাউকে বিয়ে করেছেন এবং নতুন স্বামীর সঙ্গে তালাকও হয়ে গেছে, তাহলে নতুন করে দেনমোহরসহ নিকাহ করতে হবে ।
—স্বামী তার স্ত্রীকে পেতে চাচ্ছে, এবং স্ত্রী এর মধ্যে অন্য কাউকে বিয়ে করেনি, সেক্ষেত্রে তারা পুনরায় তাদের বৈবাহিক জীবন শুরু করতে পারবে ।
-স্বামী তার স্ত্রীকে পেতে না চাইলে তা ভিন্ন বিষয় ।
এ ক্ষেত্রে জয়নব পুনরায় বিয়ে করেননি। নবিজি (সা) আবুল আসকে জয়নবের সাথে বিবাহিত জীবন পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেওয়ার পরে আরও কয়েক বছর কেটে গিয়েছিল । সুতরাং এটিই সঠিক বিধান হিসেবে আমরা ধরে নেব।
আরও পড়ুনঃ