আবু জান্দাল ও আবু বাসিরের ইমান | হুদায়বিয়ার সন্ধি ( চুক্তি )-৫, এই ঘটনা থেকে আমরা আবু জান্দাল ও আবু বাসিরের মজবুত ইমানের পরিচয় পাই। আবু জান্দালের কথাই ধরুন। তাঁকে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে অত্যাচারিত হতে হয়েছিল। যে নবির প্রতি বিশ্বাস এনে আপনি এত কষ্ট স্বীকার করলেন, তিনি আপনাকে প্রত্যাখ্যান করে বলছেন, ‘আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারব না।’

এর চেয়ে কঠিন কোনো পরীক্ষার কথা কি ভাবতে পারেন? তবু শেষ পর্যন্ত তাঁর ইমান সবকিছুর ওপর জয়ী হয়েছিল। তিনি আল্লাহর ভরসায় অবিচল থাকেন। আমরা দেখলাম, অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই আল্লাহ তাঁকে সাহায্য করলেন। তিনি কুরাইশদের কাছ থেকে প্রচুর গনিমতের সম্পদ নিয়ে পুরো কাফেলা সহযোগে মদিনায় চলে যান।
আবু জান্দাল ও আবু বাসিরের ইমান | হুদায়বিয়ার সন্ধি ( চুক্তি )-৫ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

অন্যদিকে আবু বাসিরের ব্যাপারটি লক্ষ করুন। তিনি দুবার মদিনায় আসেন। দুবারই নবিজি (সা) বলেন, ‘আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারব না।’ আবু বাসির মক্কায় ফিরে যেতে পারবেন না, মদিনায়ও থেকে যেতে পারছেন না, আর অন্য প্রতিটি শহরই হয় কুরাইশ নয়তো মুসলিমদের সঙ্গে জোটবদ্ধ । বসবাস করার জন্য এই পৃথিবীতে তাঁর কোনো স্থান নেই। তিনি এখন কী করবেন? অবশেষে তিনি একা একাই নিজস্ব একটি বসতি গড়ে তুললেন। কল্পনা করতে পারেন, পরিবার ও সমাজ ছাড়া সম্পূর্ণ একা তিনি বেঁচে আছেন? আবু জান্দাল ও আবু বাসির দুজনেই আল্লাহর ওপর চূড়ান্ত ভরসা করেছিলেন । আল্লাহ তাঁদের সাহায্য করেছেন। আল্লাহ বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, তিনি (আল্লাহ) তার জন্য (সংকট থেকে উত্তরণের) পথ করে দেন। আর তাকে তার ধারণাতীত উৎস থেকে জীবনের উপকরণ দান করেন।” [সুরা তালাক, ৬৫:২-৩]
আরও পড়ুনঃ