আবু সুফিয়ানের কাফেলা এবং কুরাইশ বাহিনীর আরো খবর | বদরের যুদ্ধ-২ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

আবু সুফিয়ানের কাফেলা এবং কুরাইশ বাহিনীর আরো খবর | বদরের যুদ্ধ-২, যখন আবু সুফিয়ান বুঝতে পারল যে তার কাফেলাটি মুসলিমদের নাগালের বাইরে একটি নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছেছে, তখন সে এক লোককে দিয়ে কুরাইশদের কাছে খবর পাঠাল, তার কাফেলা এখন নিরাপদ এবং তারা নিরাপদে মক্কায় ফিরে যেতে পারবে। লক্ষ করুন, আবু সুফিয়ান কোনো যুদ্ধ চায়নি।

 

আবু সুফিয়ানের কাফেলা এবং কুরাইশ বাহিনীর আরো খবর | বদরের যুদ্ধ-২ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

আবু সুফিয়ানের কাফেলা এবং কুরাইশ বাহিনীর আরো খবর | বদরের যুদ্ধ-২ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

আবু সুফিয়ানের দূত কুরাইশ বাহিনীর কাছে খবর পৌঁছানোর পর তারা কী করবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আলোচনায় বসল। উতবা বলল, “কাফেলা তো এখন নিরাপদ। চলো, ফিরে যাই।” কিন্তু আবু জেহেল বলল, “না। আমরা বদর পর্যন্ত যাব। আমরা সেখানে তিন দিন অবস্থান করব। সেখানে আমরা আমাদের সাথে নিয়ে আসা মদ পান করব, এবং মহিলারা  আমাদের জন্য গান করবে।

আমরা যে একটি অজেয় জাতি, সে খবর সমগ্র আরব জুড়ে ছড়িয়ে পড়ুক। ” আবু জেহেল বদরের দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে বনু জুহরা এবং অন্যান্য কিছু ছোট গোত্র আপত্তি করল এবং তাদের প্রায় ৩০০-৩৫০ জন মক্কায় ফিরে গেল। এতগুলো লোকের ফিরে যাওয়া কুরাইশদের জন্য স্বাভাবিকভাবেই ছিল হতাশাব্যঞ্জক। তারা আরও এগিয়ে যাবে কি না তা নিয়ে তাদের মধ্যে আবারও মতবিরোধ দেখা দিল। এভাবে দেখা যাচ্ছে, কোনো পক্ষই যুদ্ধে যেতে চায়নি।

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

তবে আল্লাহর ডিক্রি ছিল যে বদরের ঘটনা ঘটবে; আর আল্লাহর কদরের তো অন্যথা হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা সুৱা আনফালে এই বিষয়টির উল্লেখ করেছেন: “আসলে যা ঘটার ছিল আল্লাহ তা ঘটালেন দুই দলকে যুদ্ধক্ষেত্রে ( একত্র করে), যাতে করে যার ধ্বংস হওয়ার কথা সে যেন (সত্যাসত্যের) প্রমাণ স্পষ্ট প্রকাশের পর ধ্বংস হয় এবং যার জীবিত থাকার কথা সে যেন (সত্যাসত্যের) প্রমাণ স্পষ্ট প্রকাশের পর জীবিত থাকে। আল্লাহ তো সব শোনেন, সব জানেন।” [সুরা আনফাল, ৮:82]

কুরাইশ বাহিনী যখন জুহফা পর্যন্ত পৌঁছল (সম্ভবত আৰু সুফিয়ানের দূত তাদের কাছে পৌঁছার আগেই), তখন বাহিনীর সাথে থাকা বনু হাশিমের এক যুবক (নবিজির (সা) চাচাতো ভাইয়ের ছেলে) স্বপ্নে দেখল: এক লোক উটে চড়ে তাদের দিকে এগিয়ে আসতে আসতে ঘোষণা করছে, উতবা ইবনে রাবিয়াকে হত্যা করা হয়েছে, শায়বা ইবনে রাবিয়াকে হত্যা করা হয়েছে, আবু হাকাম ইবনে হিশামকে (আবু জেহেল) হত্যা করা হয়েছে, উমাইয়া ইবনে খালাফকে হত্যা করা হয়েছে . ।”

 

আবু সুফিয়ানের কাফেলা এবং কুরাইশ বাহিনীর আরো খবর | বদরের যুদ্ধ-২ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

এভাবে সে কুরাইশদের প্রতিটি বিখ্যাত … নাম উল্লেখ করতে থাকল এবং বলল যে তাদের প্রত্যেককেই হত্যা করা হয়েছে। তারপর সে উটের কুঁজটি কেটে ফেলে সেটিকে ছেড়ে দিল। উটটি তাদের শিবিরে ঢুকে পড়লে প্রত্যেকটি তাঁবুতে রক্ত ছড়িয়ে পড়ল। স্বপ্নের ব্যাখ্যাটি খুব স্পষ্ট: কেবলমাত্র উল্লিখিত লোকদেরই যে হত্যা করা হবে তা নয়, প্রতিটি তাঁবুতে (অর্থাৎ প্রতিটি পরিবারে) হতাহতের ঘটনা ঘটবে। কিন্তু কুরাইশ বাহিনী এটিকে একটি অর্থহীন স্বপ্ন ভেবে উপেক্ষা করল। তারা বুঝতে পারল না যে এটি ছিল একটি সত্য স্বপ্ন।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment