সবকিছুর পেছনে আল্লাহর প্রজ্ঞা | ওহুদের যুদ্ধ-৪, প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে কি আল্লাহ তায়ালা তাঁর রসুলকে রক্ষা করার জন্য কিছু করেননি? স্পষ্টতই করেছিলেন। সহিহ বুখারির একটি হাদিস অনুযায়ী, সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস বর্ণনা করেছেন, তিনি ওহুদের যুদ্ধের দিন সাদা পোশাক পরা দুজন লোককে দেখেছিলেন যাঁরা যুদ্ধ করে নবিজিকে (সা) পাহারা দিয়ে রেখেছিলেন। ওহুদের যুদ্ধের আগে বা পরে কখনও তিনি তাঁদের দেখেননি। তাঁরা নিঃসন্দেহে ফেরেশতা ছিলেন।
সবকিছুর পেছনে আল্লাহর প্রজ্ঞা | ওহুদের যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

তাহলে প্রশ্ন জাগতে পারে, সহযোগিতার জন্য ফেরেশতাদের পাঠানো সত্ত্বেও নবিজি (সা) ও মুসলিমদের কেন এমন কঠিন অবস্থায় পড়তে হয়েছিল? ফেরেশতার সংখ্যা কি কম হয়ে গিয়েছিল? অবশ্যই না। এর ব্যাখ্যা হলো, ওহুদের যুদ্ধে নবিজি (সা) যে আঘাত পেয়েছিলেন, তার পেছনে অবশ্যই মহান আল্লাহর প্রজ্ঞা নিহিত ছিল। নবিজিকে (সা) যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে সুরক্ষা না দেওয়া হতো, তাহলে তিনি এই যুদ্ধে বেঁচে থাকতে পারতেন না। ফেরেশতারা আল্লাহ তায়ালার অনুমতিতে তার ‘জীবন’ রক্ষা করেছিল। তাঁর আহত হওয়াটা ছিল আল্লাহর কদরের অংশ।

মুসআব ইবনে উমায়ের (রা) মৃত্যুর পরে ছড়ানো গুজব
মুসআব ইবনে উমায়েরের (রা) মৃত্যু নিয়ে আমরা আগের পর্বে আলোচনা করেছি। মুসআবের গায়ের রং ছিল অনেকটা নবিজির (সা) মতো। তাঁর মুখাবয়বের সঙ্গেও নবিজির (সা) মুখাবয়বের কিছুটা মিল ছিল বলে বলা হতো। ওহুদের যুদ্ধের দিন তিনি নবিজির (সা) দেওয়া একটি আলখাল্লা পরে ছিলেন। এসব কারণে আবদুল্লাহ ইবনে কামিয়া মুসআবকে হত্যা করার পরে ধরেই নিয়েছিল যে, সে নবিজিকে (সা) হত্যা করেছে। সে জোরে চিৎকার করে বলতে থাকে, “আমি মুহাম্মদকে হত্যা করেছি! আমি মুহাম্মদকে হত্যা করেছি।” কুরাইশদের মধ্যে এবং কিছু মুসলিমদের মধ্যে এই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।
অবশ্য এই গুজব মুসলিমদের অনেক কাজে লেগেছিল। কুরাইশরা এই খবরের ওপর ভিত্তি করে তল্পিতল্পা গোছানো শুরু করে দেয়; অর্থাৎ তাদের কাজ শেষ, এখন তারা চলে যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ