আল-কাসওয়া হুদায়বিয়ার সমতটে থেমে গেল | হুদায়বিয়ার সন্ধি (চুক্তি)-১ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

আল-কাসওয়া হুদায়বিয়ার সমতটে থেমে গেল | হুদায়বিয়ার সন্ধি (চুক্তি)-১, সাহাবিরা সারাদিন ধরে হেঁটে যতক্ষণে ওই কণ্টকাকীর্ণ উপত্যকা পার হলেন, ততক্ষণে সন্ধ্যা নেমে এসেছে। এবার তাঁরা যে সমতটে পৌঁছলেন তা হুদায়বিয়া নামে পরিচিত । হুদায়বিয়া পৌঁছার পর রাত নেমে আসতে শুরু করলে নবি করিমের (সা) উটটি এক সময় নিজ থেকেই থেমে যায় এবং বসে পড়ে। নবিজি (সা) সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন; অর্থাৎ তাঁর সামনে আর কেউ ছিল না। তাই তাঁর উটটি বসে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাহাবিদেরও থেমে যেতে হয়। কিছু সাহাবি উটটির উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলতে থাকেন, “হাল, হাল!” (উট কিংবা ঘোড়াকে উঠানোর জন্য ব্যবহৃত শব্দ)।

আল-কাসওয়া হুদায়বিয়ার সমতটে থেমে গেল | হুদায়বিয়ার সন্ধি (চুক্তি)-১ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

আল-কাসওয়া হুদায়বিয়ার সমতটে থেমে গেল | হুদায়বিয়ার সন্ধি (চুক্তি)-১ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

কিন্তু উটটি কোনোভাবেই নড়ে না। তখন তাঁরা উটটির ওপর কিছুটা রেগে গিয়ে বলেন, “কাসওয়া একগুঁয়ে হয়ে গেছে।” কিন্তু নবিজি (সা) বললেন, “কাসওয়া একগুঁয়ে হয়নি; আর সেটা তার স্বভাবও না। বরং যিনি (অর্থাৎ আল্লাহ) হাতিকে থামিয়েছিলেন, তিনি তাকেও থামিয়ে দিয়েছেন।”

আল-কাসওয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষণীয়

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

১. প্রথমেই বলতে হয়, আমরা যেহেতু নবিজির (সা) উটের নামটিও জানি, তাই বলা যেতে পারে যে, তাঁর জীবনের সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই বিস্তারিতভাবে সংরক্ষিত আছে। কেউ কেউ বলে থাকেন, সুন্নাহ খুব ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি, কিন্তু এমন ধারণা সত্য নয় ।

২. সাহাবিরা উটটিকে গালমন্দ করলেও নবিজি (সা) উটের সম্মান রক্ষার্থে তাদের জবাব দেন। একটি উটেরও যদি সম্মান প্রাপ্য হয়, তাহলে আমাদের মুসলিম ভাইবোনের সম্মানের বিষয়টা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।

৩. হাতির থেমে যাওয়ার সঙ্গে উটের থেমে যাওয়ার তুলনাটি স্পষ্ট। উভয় প্রাণীই মক্কা অভিমুখে যাচ্ছে, উভয় ক্ষেত্রেই কাবার সম্মান রক্ষা করা হচ্ছে। হাতিকে থামার জন্য যার (আল্লাহর) প্রজ্ঞা কাজ করেছিল, কাসওয়াকে থামার জন্যও তাঁর প্রজ্ঞাই কাজ করেছে।

 

আল-কাসওয়া হুদায়বিয়ার সমতটে থেমে গেল | হুদায়বিয়ার সন্ধি (চুক্তি)-১ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

হুদায়বিয়া কী?

হুদায়বিয়া কথাটি এসেছে আরবি শব্দ ‘হাদবা’ থেকে, যারা অর্থ ‘কুঁজো’। ওই অঞ্চলে একটি গাছ ছিল যা কুঁজো হয়ে নুয়ে ছিল। সেখানকার লোকজন গাছটির পাশে একটি কূপের নাম দিয়েছিল ‘হুদায়বিয়া’, যার অর্থ একটি ছোট্ট আঁকাবাঁকা গাছ । অবশেষে পুরো সমতটটির নাম হয়ে গেল হুদায়বিয়া। এখনকার সময়ে জায়গাটির নাম পরিবর্তন করে আল-ওমাইসি রাখা হয়েছে। হুদায়বিয়া এলাকাটি মক্কা থেকে জেদ্দার পথে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment