ইজরার পদ্ধতি আজকের আলোচনার বিষয়। ইজরার পদ্ধতি [ Ijrar Poddhoti ] ক্লাসটি ইল্মুন নাহ্ব [ Ilmun Nahab ] বিষয়ক ক্লাস। ইল্মুন নাহ্ব [ Ilmun Nahab ] বিষয়ে আজ ১৪ তম ক্লাস। ইল্মুন নাহ্ব [Ilmun Nahab] আরবির ব্যাকরণের গুরুত্বপুর্ন অংশ। আরবির ব্যাকরণ [ Arabic Grammer ] কে বলা হয় ক্বাওয়াঈদুল লুগাতি [ Quaid Ul Lughat ]। এটি আবার দুটি ভাগে বিভক্ত। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে ‘নাহু-বিদ্যা [ ইল্মুন নাহ্ব [Ilmun Nahab] ] ’ আর অপরটি ‘সরফ-বিদ্যা [ ইলমুস সরফ [ Ilmus sarf ]।
ইজরার পদ্ধতি
আরবি ব্যাকরণ বা আরবি ভাষাবিজ্ঞান (আরবি: النحو العربي আন-নাহু আল-আরাবি বা আরবি: عُلُوم اللغَة العَرَبِيَّة উলুম আল-লুগাহ আল-আরাবিয়াহ), সংক্ষেপে নাহু, হল আরবি ভাষার ব্যাকরণ। আরবি ব্যাকরণ হল এমন একটি বিজ্ঞান যা অধ্যায়নের দ্বারা আরবি শব্দের শেষ অক্ষরের অবস্থা-বিধান (যের-যবর-পেশ ইত্যাদি প্রয়োগ) জানা যায় এবং বাক্য গঠনের পদ্ধতি সম্পর্কিত যাবতীয় জ্ঞান অর্জিত হয়। আরবি হল একটি সেমেটিক ভাষা। অন্যান্য সেমিটিক ভাষার ব্যাকরণের সাথে এ ভাষার ব্যাকরণের অনেক মিল রয়েছে।

বিভাগ
শাস্ত্রীয় আরবী ব্যাকরণের জন্য ব্যাকরণ-বিজ্ঞান পাঁচটি শাখায় বিভক্ত:
- আল-লুগাত ( اَللُّغَة ) : (ভাষা / অভিধান) শব্দভাণ্ডার সংগ্রহ এবং ব্যাখ্যা করার সাথে সম্পর্কিত।
- আত-তাসরিফ বা আস-সরফ ( اَلتَّصْرِيف ) : (রূপতত্ত্ব বা শব্দতত্ত্ব) একই শব্দের বিভিন্ন রূপ নির্ধারণ।
- আন-নাহু (اَلنَّحْو ) : (বাক্য গঠন) বাক্যে ব্যবহৃত শব্দ সমুহের শেষে ‘ইরাব’ প্রদান সম্পর্কিত ।
- আল-ইশতিকাক (اَلاشْتِقَاق ) : (উদ্ভূত) শব্দের উৎস বা ধাতু নির্ধারণ ।
- আল-বালাগাত ( اَلْبَلَاغَة ) : (অলঙ্কারশাস্ত্র) যা শৈলীগত গুণ বা স্পষ্টতাকে বিশদ করে।
তবে আরব অঞ্চল ও ভারতীয় উপমহাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন আরবি পাঠকেন্দ্রগুলোতে (যেমন মাদ্রাসা) মূলত আরবি ব্যাকরণের দুটি শাখাকে প্রধান ধরা হয়, এগুলো হলো, প্রথমত, ইলমুস সরফ বা শব্দতত্ত্ব, এবং দ্বিতীয়ত, ইলমুন নাহু বা বাক্যতত্ত্ব। আরবির সমসাময়িক প্রকরণগুলোর ব্যাকরণ বা ব্যাকরণসমূহ আরেকটি অন্যতম আলোচনার বিষয়। সাঈদ ম. বাদাভি, আরবি ব্যাকরণের একজন বিশেষজ্ঞ, আরবি ব্যাকরণকে বক্তার স্বাক্ষরতার পর্যায় ও প্রাচীন আরবি হতে বক্তার বিচ্যুতির হার অনুযায়ী ৫টি ভিন্ন প্রকরণে ভাগ করেছেন।
সবচেয়ে কথ্য আরবি থেকে শুরু করে সবচেয়ে আড়ম্বর পর্যন্ত বাদাভির ৫টি ব্যাকরণিক প্রকার হলো নিরক্ষর কথ্য আরবি (عامِّيّة الأُمِّيِّينِ ‘আম্মিয়াত আল-উম্মিয়ীন), অর্ধ্ব-শিক্ষিত কথ্য আরবি (عامِّيّة المُتَنَوِّرِينَ ‘আম্মিয়াত আল-মুতানাউয়িরিন), শিক্ষিত কথ্য আরবি (عامِّيّة اَلمُثَقَّفِينَ ‘আম্মিয়াত আল-মুসাক্কাফিরীন), আধুনিক আদর্শ আরবি (فُصْحَى العَصْر ফুসহা ল-‘আসর), ও প্রাচীন আরবি (فُصْحَى التُراث ফুসহা ত-তুরাছ)।
এছাড়াও বিশ্বজুড়ে মোট ২৫টিরও বেশি কথ্য আরবির ভিন্ন ভিন্ন বাচনশৈলী (dialects) প্রচলিত রয়েছে, যেগুলোকে প্রধানত ২টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়, যথাঃ মাশরেকি আরবি বা প্রাচ্য আরবদেশগুলোর আরবি ও মাগরেবি আরবি বা পাশ্চাত্য আরব দেশগুলোর আরবি।

ইজরার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও দেখুনঃ