উতবা ইবনে রাবিয়াহ: যুদ্ধ করবে কি করবে না | বদরের যুদ্ধ-২, উটের কাফেলার বিপদের মুখে পড়া নিয়ে দামদামের বর্ণনা শুনে কুরাইশরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে কী করা উচিত তা নিয়ে আলোচনার জন্য তারা একটি সভা ডাকে। সভায় অনেক বিতর্কের পরে তারা প্রায় সর্বসম্মতক্রমে কাফেলাটি রক্ষা করার জন্য সেনাবাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এভাবেই মক্কার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে একত্রিত করা হয়। পুরো আয়োজন শেষ করে আক্ষরিকভাবে মাত্র একদিনের মধ্যেই তারা মক্কা ত্যাগ করে।
ইবনে ইসহাক উল্লেখ করেছেন, মক্কার একটি পরিবারও বাকি ছিল না যে পরিবারের অন্তত একজনকেও পাঠানো হয়নি। আতিকা স্বপ্ন দেখেছিলেন যে মক্কার প্রতিটি পরিবারকে একটি পাথরখণ্ড এসে আঘাত করবে, এটি তার সঙ্গেও সংগতিপূর্ণ। যাঁরা নিজেদের বাড়ি থেকে লোক পাঠাতে পারেনি, তারা বাইরে থেকে অন্য কাউকে ভাড়া করে পাঠিয়েছে ।

উতবা ইবনে রাবিয়াহ: যুদ্ধ করবে কি-করবে না | বদরের যুদ্ধ-২ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন
উতবা ইবনে রাবিয়া ছিল নবিজির (সা) দূর সম্পর্কের চাচা। উতবা ছিল সেই ব্যক্তি যে তায়েফের ঘটনার পরে নবিজিকে (সা) আঙুর পাঠিয়েছিল। রক্তের সম্পর্কের কারণে সে প্রথমে যুদ্ধে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তার ভাই শায়বা তাকে বলে, “আমরা যদি এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়ে আমাদের লোকদের ত্যাগ করি, তাহলে সারা জীবন আমাদেরকে বিদ্রুপ ও লাঞ্ছনা সহ্য করতে হবে।”

এ কথা শোনার পর দুজনেই যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়, কিন্তু তারা ঘুণাক্ষরেও জানত না যে তারা নিজেদের মৃত্যুর জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছে! কোনো কিছু সঠিক নয় জেনেও নিজের লোকদেরকে অন্ধভাবে অনুসরণ করার মানসিকতাটি লক্ষ করুন। ইসলাম এটি সমর্থন করে না। মুসলিম হিসেবে আমরা শুধু নবি করিমের (সা) কথাই নির্দ্বিধায় সমর্থন করব; অন্য মানুষের ক্ষেত্রে বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করে যাচাই করে দেখব। মুসলিম হিসেবে আমাদের সত্য মানতে হবে, এমনকি তা যদি আমাদের নিজেদের কিংবা পিতা-মাতার বিরুদ্ধেও যায় ।
আরও পড়ুনঃ