উমর রা ও নবিজির সা মধ্যে কথা চালাচালি | হুদায়বিয়ার সন্ধি ( চুক্তি )-৫, সুহায়েল ইবনে আমর সন্তুষ্টচিত্তে ফিরে গেল। এবার উমর (রা) দ্বিধা না করে অন্য অনেক সাহাবির মনের কথাগুলো বলে ফেললেন। তিনি নবি করিমের (সা) কাছে এসে তাঁকে এই আলঙ্কারিক প্রশ্নগুলো করলেন, “আপনি কি আল্লাহর রসুল নন? আমরা কি সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত নই? আমাদের শত্রুরা কি পথভ্রষ্ট নয়? তাহলে আমরা কেন অপমান ও ক্ষতিকর অবস্থান মেনে নেব?” জবাবে নবিজি (সা) বললেন, “আমি আল্লাহর রসুল। আমি তাঁর অবাধ্য হব না। তিনি আমাকে সাহায্য করবেন।”
উমর রা ও নবিজির সা মধ্যে কথা চালাচালি | হুদায়বিয়ার সন্ধি ( চুক্তি )-৫ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

এর মানে হলো, নবিজিকে (সা) এই চুক্তি করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলছেন, তিনি জানেন না যে এর ফল কী হতে যাচ্ছে, আর কেনই বা আল্লাহ এটা ঘটতে দিতে চেয়েছেন। কিন্তু আল্লাহ তাঁকে শর্তগুলো মেনে নিতে বলেছেন। নবিজির (সা) জবাবটি কড়া, উমর (রা) তা নিয়ে তর্ক করতে পারেননি। তাই তিনি নতুনভাবে আবার চেষ্টা করলেন এবং বললেন, “হে আল্লাহর রসুল, আপনি কি আমাদের বলেননি যে আমরা আল্লাহর ঘরের চারপাশে তাওয়াফ করতে যাচ্ছি?”

নবিজি (সা): নিশ্চয়ই আমি তোমাদের তা বলেছিলাম। কিন্তু আমি কি বলেছিলাম যে আমরা তা এই বছরই করব?
উমর (রা): না, তা বলেননি ।
নবিজি (সা): তোমরা তা (ওমরা) পরের বছর করবে।
অর্থাৎ ‘আমার স্বপ্ন সত্যি হবে। কোন বছর তা আল্লাহ আমাকে বলেনি। আমি ধরে নিয়েছিলাম এই বছরই হবে। কিন্তু এখন আমরা জানি, তা হবে পরের বছর।’
এখানে উমরের (রা) ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ তিনি মনে করছেন মুসলিমরা ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাঁর সকল ক্ষোভ ইসলাম ধর্মের মর্যাদা রক্ষার্থে । তবে তিনি স্পষ্টতই আবেগতাড়িত হয়ে ভুল করেছেন, তাঁর সীমারেখা অতিক্রম করেছেন। সর্বোপরি যিনি ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি মহানবি মুহাম্মদ (সা), উমর (রা) নন। আবেগ মানুষকে এমন কিছু করতে বাধ্য করতে পারে, যার কারণে পরে তাকে অনুতপ্ত হতে হয় ।
আরও পড়ুনঃ