নবিজির (সা) কন্যা রুকাইয়ার মৃত্যু | বদরের যুদ্ধ-৬, যখন মদিনার মুসলিমরা বদরের যুদ্ধের ফলাফলে আনন্দিত হয়ে ‘তাকবির’ (আল্লাহু আকবর) ধ্বনি দিচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময়ে উসমান ইবনে আফফান নবি-কন্যা রুকাইয়াকে দাফন করছিলেন। তাকবিরের ধ্বনি শুনে উসমান আশেপাশের লোকদের জিজ্ঞেস করলেন, “কী হচ্ছে? তাকবির কীসের জন্য?” তখন তাঁকে বলা হলো, মুসলিমরা বদরের যুদ্ধে জয়লাভ করেছেন।

নবিজির (সা) কন্যা রুকাইয়ার মৃত্যু | বদরের যুদ্ধ-৬ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন
বদরের যুদ্ধে বিজয়ই ছিল সেই সময় পর্যন্ত ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আনন্দের ঘটনা। কিন্তু এই বিজয়ের ফলাফলে যখন সবচেয়ে বেশি আনন্দের বন্যা বয়ে যাওয়ার কথা ছিল, তখনই নবিজির (সা) পরিবারেই ঘটে গেল চরমতম ট্র্যাজেডির ঘটনা।

[আনুষঙ্গিক বিষয়: নবিজির (সা) কন্যাদের মধ্যে কে বড় আর কে ছোট ছিলেন তা আমরা নিশ্চিতভাবে জানি না। কেউ বলেন রুকাইয়া ছিলেন প্রথম, কেউ বলেন দ্বিতীয়, আবার কেউ কেউ বলেন তৃতীয়। তবে কন্যাদের মধ্যে তিনিই প্রথম মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পরে উসমান (রা) নবিজির (সা) আরেক কন্যা উম্মে কুলসুমকে বিয়ে করেন।]
বদরের যুদ্ধে বিজয়ের মতো খুশির খবরের মাঝে রুকাইয়ার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আল্লাহ তায়ালা আমাদের জানিয়ে দিতে চান, ‘আপনি যত খুশিই হোন না কেন, এই পৃথিবীটি একটি পরীক্ষার ক্ষেত্র এবং ক্ষণস্থায়ী জায়গা।’ জীবন ও মৃত্যু কারও জন্য থেমে থাকে না, এটিই এই পৃথিবীর বাস্তবতা। নবি করিম (সা) যেমনটি বলেছেন, “আমরা কী করতে চাই তা নিয়ে আমাদের সবারই একটি দীর্ঘ তালিকা থাকে। মৃত্যু এসে সেই তালিকায় রেখা টেনে দেয়, তা আমরা তালিকা পূরণ করার ক্ষেত্রে যে অবস্থানেই থাকি না কেন।”
আরও পড়ুনঃ