কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয় | বদরের যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয় | বদরের যুদ্ধ-৪, ১. মর্যাদার বিচারে সাহাবিরা সবচেয়ে উপরের স্তরে থাকলেও তাঁরা ছিলেন রক্তমাংসেরই মানুষ, তাঁরাও ভুল করতে পারেন। সুতরাং আমাদের মধ্যে যদি কেউ ভুল করে তবে মনে রাখতে হবে যে আমাদের চেয়েও অনেক উচ্চ  মর্যাদাবান মানুষও ভুলের মধ্যে পড়েছিলেন। একটু ভেবে দেখুন, আবু হুদায়ফা নবিজির (সা) চাচাকে হত্যা করবেন বলে শপথ করেছিলেন। ভাবতে পারেন, এ নিয়ে তিনি কতটা অনুশোচনায় ভুগেছিলেন? কিন্তু তিনি তাঁর এই ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করেন এবং আল্লাহ তা কবুল করেন ।

 

কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয় | বদরের যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয় | বদরের যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

২. এখানে নবি করিমের (সা) বিচক্ষণতার ব্যাপারটি লক্ষ করুন। তিনি উমরের কাছে তাঁর হতাশার কথাটিই শুধু প্রকাশ করেছেন। তিনি কিন্তু সরাসরি আবু হুদায়ফার কাছে যাননি, কারণ তা তাঁর (আবু হুদায়ফার) পক্ষে চরম বিব্রতকর একটি বিষয় হতো। সন্দেহ নেই, আবু হুদায়ফার কথায় নবিজি (রা) কিছুটা বিরক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এ-ও বুঝতে পেরেছিলেন যে, আবু হুদায়ফা সদ্যই তাঁর বাবা, চাচা ও ভাইকে হারানোর কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাই তিনি তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। যেসব সাহাবি আবু হুদায়ফার সমালোচনা করেছিলেন, তাঁরা তাঁর এই মানসিক অবস্থা আমলে নেননি।

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

যুদ্ধ শেষ হলে মুশরিকদের লাশগুলো একটি কূপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। উতবার দেহটি যখন কূপে ফেলার জন্য টেনে আনা হচ্ছিল, তখন তা দেখে আবু হুদায়ফার মুখ করুণ ও ফ্যাকাশে হয়ে যায়। আর যা-ই হোক, এ লাশটি ছিল তাঁর জন্মদাতা বাবার। তাঁর চেহারায় গ্লানির ছাপ দেখতে পেয়ে নবিজি (সা) তাঁকে বললেন, “আমি জানি, এটা তোমার জন্য অত্যন্ত কষ্টের ব্যাপার।”

 

কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয় | বদরের যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

আবু হুদায়ফা উত্তরে বললেন, “হে আল্লাহর রসুল, আমি জানি আমার পিতা মুশরিক হবার কারণেই প্রাণ হারিয়েছেন, কিন্তু আমি তো এই লোকটির কাছ থেকে ছোটবেলা থেকে আদর ও ভালোবাসা পেয়ে এসেছি। তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন।” এরপর নবিজি (সা) আবু হুদায়ফার জন্য অনেক দোয়া করেছিলেন। এই ঘটনার পর আবু হুদায়ফা সবকিছু ভুলে যান, এবং নবিজির (সা) প্রতি তাঁর কষ্টের অনুভূতির বদলে আরও বেশি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment