কিরাতের পরিচয়, কিরাত ও কারিদের সংখ্যা আজকের আলোচ্য বিষয়। কিরাতের পরিচয়, কিরাত ও কারিদের সংখ্যা ও কিরাতের স্তর [ Identity of Kirat, number of Kirat and Karis and level of Kirat ] ক্লাসটি মাদ্রাসার দাখিল [ Dakhil ] অষ্টম শ্রেণীর [ Class 8 ] কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ [ Quran Majeed Tajweed ] বিষয়ের পাঠ। যা ৪র্থ অধ্যায়ের ১ম পাঠে পড়ানো হয়।
Table of Contents
কিরাতের পরিচয়, কিরাত ও কারিদের সংখ্যা
কিরাত হলো পবিত্র কোরআনের পাঠপদ্ধতি। কোরআনের শব্দ ও বাক্য কিভাবে উচ্চারণ করা হবে তা কিরাতশাস্ত্রে আলোচনা করা হয়। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন শব্দ ও বাক্যের উচ্চারণ পদ্ধতি নিয়ে কোরআন গবেষকদের ভেতর মতভিন্নতা রয়েছে। যার ভেতর প্রণিধানযোগ্য ১০ কারির মতগুলো ‘১০ কিরাত’ নামে পরিচিত।
কিরাতশাস্ত্রের পরিচয়
ড. ফাহাদ বিন আবদুর রহমান রুমি কিরাতশাস্ত্রের পরিচয় তুলে ধরে লেখেন, ‘যে শাস্ত্র পাঠ করলে কোরআনের শব্দগুলোর উচ্চারণ করার পদ্ধতি ও তা আদায়ের প্রক্রিয়া জানা যায় তাকে কিরাতশাস্ত্র বলে। চাই বিষয়গুলোতে কিরাতশাস্ত্রবিদরা একমত হোক বা না হোক। ’ (দিরাসাতুন ফি উলুমিল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩১৪)

কিরাতের সংখ্যা কত?
পবিত্র কোরআনের বিখ্যাত কিরাতের সংখ্যা সাতটি এবং তা নির্ভুল ধারাবাহিকতায় প্রমাণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) এ বিষয়ে বলেন, জিবরাইল আমাকে একভাবে কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন।
এরপর আমি তাঁকে অন্যভাবে পাঠ করার জন্য অনুরোধ করতে লাগলাম এবং বারবার অন্যভাবে পাঠ করার জন্য ক্রমাগত অনুরোধ করতে থাকলে তিনি আমার জন্য তিলাওয়াতের পদ্ধতি বাড়িয়ে যেতে লাগলেন। অবশেষে তিনি সাত আঞ্চলিক ভাষায় তিলাওয়াত করে সমাপ্ত করলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৯৯১)
বেশির ভাগ আলেম এ বিষয়ে একমত যে বিখ্যাত সাত কিরাতের বাইরে আরো তিনটি কিরাত নির্ভুল ও সন্দেহাতীত ধারাবাহিকতায় প্রমাণিত। তবে ১০ কিরাতের বাইরে অন্য কিরাতগুলো শাজ বা বিরল।
আল্লামা ইবনুল জাজারি (রহ.) ১০ কিরাতের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। আর আল্লামা জুরকানি (রহ.) বলেন, ‘গবেষণা ও অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে যে ১০ কিরাতের সবগুলো মুতাওয়াতির বা নির্ভুল ধারাবাহিকতায় প্রমাণিত। আল্লামা ইবনুস সুবকি, ইবনুল জাজারি ও নুওয়াইরি (রহ.)-এর মতো গবেষকদের এটাই মত। ’ (সাফহাতুন ফি উলুমিল কিরায়াত, পৃষ্ঠা ৬৯-৭১; মানাহিলুল ইরফান ফি উলুমিল কোরআন : ১/৪৪১)
কিরাতের সংখ্যা একাধিক কেন
উম্মতের সহজতার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর কাছে একাধিক কিরাতের আবেদন করেছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) এ বিষয়ে বলেন, জিবরাইল আমাকে একভাবে কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন।
এরপর আমি তাঁকে অন্যভাবে পাঠ করার জন্য অনুরোধ করতে লাগলাম এবং বারবার অন্যভাবে পাঠ করার জন্য ক্রমাগত অনুরোধ করতে থাকলে তিনি আমার জন্য তিলাওয়াতের পদ্ধতি বাড়িয়ে যেতে লাগলেন। অবশেষে তিনি সাত আঞ্চলিক ভাষায় তিলাওয়াত করে সমাপ্ত করলেন। (বুখারি : ৪৯৯১)
অপর এক হাদিসে এসেছে, জিবরাইল (আ.) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ আপনাকে আদেশ করেছেন, আপনি যেন আপনার উম্মতকে এক উপভাষায় কোরআন পড়ান। উত্তরে তিনি বলেন, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, আমার উম্মত এর ক্ষমতা রাখবে না। এভাবে তিন তিনবার অনুরোধ করার পর আল্লাহ সাত কিরাত দান করেন। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৯৩৯)

কিরাতের পরিচয়, কিরাত ও কারিদের সংখ্যা নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও দেখুনঃ