জয়নব বিনতে খুজায়মার মায়ের কন্যারা | মহানবি মুহাম্মদের (সা) বিয়ে | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

জয়নব বিনতে খুজায়মার মায়ের কন্যারা | মহানবি মুহাম্মদের (সা) বিয়ে, জয়নবের মা হিন্দ বিনতে আউফের কন্যাদের বিষয়টি সত্যিই আকর্ষণীয়। কিছু কিছু ইতিহাসবিদ তাঁকে মানবজাতির ইতিহাসের সবচেয়ে ‘সম্ভ্রান্ত জামাতাদের শ্বাশুড়ি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তার পাঁচ কন্যার প্রত্যেকেরই বিয়ে হয়েছিল অত্যন্ত কৃতি ব্যক্তিদের সঙ্গে ।

জয়নব বিনতে খুজায়মার মায়ের কন্যারা | মহানবি মুহাম্মদের (সা) বিয়ে | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

জয়নব বিনতে খুজায়মার মায়ের কন্যারা | মহানবি মুহাম্মদের (সা) বিয়ে | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

প্রথম কন্যা জয়নব বিনতে খুজায়মা ও দ্বিতীয় কন্যা তাঁর ‘সৎ বোন’ মায়মুনা বিনতে হারিস—উভয়ে ছিলেন ‘উম্মুল মুমিনিন’, মহানবি মুহাম্মদের (সা) স্ত্রী। তৃতীয় কন্যা উম্মে আল-ফাদল বিনতে হারিস ওরফে ‘লুবাবা আল-কুবরা’ ছিলেন নবিজির (সা) চাচা আব্বাসের স্ত্রী। উম্মে আল-ফাদলের গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন দুজন বিখ্যাত সাহাবি: আল-ফাদল ইবনে আব্বাস এবং আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস।

চতুর্থ কন্যা ছিলেন আরেক অতি বিখ্যাত সাহাবি আসমা বিনতে উমায়েস। তিনি প্রথমে জাফর ইবনে আবি তালিবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। অষ্টম হিজরিতে জাফরের মৃত্যু হলে তিনি বিধবা হন। নবিজি (সা) তাঁর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিলেন, “আমার ভাইয়ের জন্য কান্নাকাটি করবে না। তাঁর সন্তানরা এখন আমার সন্তানের মতো (অর্থাৎ আমি তাদের দেখভাল করব)।”

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

পরবর্তী সময়ে আবু বকর (রা) তাঁর খেলাফতের সময়ে আসমাকে বিয়ে করেন এবং আসমার গর্ভে জন্ম নেয় পুত্র মুহাম্মদ ইবনে আবি বকর। আবু বকরের (রা) মৃত্যুর পরে আসমা জাফরের ছোট ভাই আলি ইবনে আবি তালিবকে বিয়ে করেছিলেন এবং আলির (রা) ঔরসেও তিনি পুত্রসন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। অর্থাৎ আসমা বিনতে উমায়েস জাফর, আবু বকর এবং আলি-এই তিন সম্ভ্রান্ত সাহাবির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। মাশাআল্লাহ।

 

জয়নব বিনতে খুজায়মার মায়ের কন্যারা | মহানবি মুহাম্মদের (সা) বিয়ে | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

পঞ্চম কন্যা ছিলেন সালমা বিনতে উমায়েস, তিনি নবিজির (সা) আরেক চাচা হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিবকে (রা) বিয়ে করেছিলেন। উমারা নামে  তাদের একটি মেয়ে ছিল। হামজার মৃত্যুর পর সাহাবিদের অনেকেই উমারার অভিভাবকত্বের দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত নবিজি (সা) জাফরকে সেই দায়িত্ব দেন, কারণ জাফরের স্ত্রী (আসমা বিনতে উমাইস) ছিলেন উমারার আপন খালা।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment