জয়নব বিনতে জাহশ (রা) | মহানবি মুহাম্মদের (সা) বিয়ে, নবিজির (সা) পরবর্তী স্ত্রী ছিলেন জয়নব বিনতে জাহশ। তাঁর সম্পর্কে আমরা পরবর্তী একটি পর্বে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
জয়নব বিনতে জাহশ (রা) | মহানবি মুহাম্মদের (সা) বিয়ে | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

হিজাবের বিধান
এই সময়েই, অর্থাৎ হিজরতের চতুর্থ বছরের শেষের দিকে অথবা পঞ্চম বছরের শুরুতে হিজাবের বিধান অবতীর্ণ হয়। এর কয়েকমাস বা বছরখানেক আগে মদ্যপানও হারাম করা হয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই সময়ে ইসলামের শরিয়তি বিধানগুলো দৃঢ়তর করা হচ্ছে। নামাজ, জাকাত ও রোজার বিধান আগেই এসেছিল। মক্কা তখনও শত্রুনিয়ন্ত্রিত ছিল বলে হজের বিধান আসে আরও পরে।

যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি
এখন আমরা আবার সিরাহের রাজনৈতিক আলোচনায় ফিরে যাব। ওহুদের যুদ্ধের শেষে আবু সুফিয়ান বলেছিল, “এখন থেকে এক বছর পর আমরা আবার বদরে সাক্ষাৎ করব।” ওহুদের যুদ্ধ সংঘটিত হয় হিজরতের তৃতীয় বছরে। অতএব হিজরতের চতুর্থ বছরের শাবান মাসে নবি করিম (সা) আনুমানিক ১,৫০০ সাহাবি নিয়ে আবার বদরে গিয়ে ঘাঁটি গাড়েন। তিনি সেখানে কুরাইশ বাহিনীর অপেক্ষায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় অবস্থান করেন। যুদ্ধের জন্য তিনি আলি ইবনে আবি তালিবকে (রা) পতাকা বহনকারী হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে রাখেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানে কুরাইশদের দেখা মেলেনি।
কুরাইশরা কেন তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেনি? কী হয়েছিল তাদের? তারা ২,০০০ লোকের এক শক্তিশালী বাহিনী গঠন করেছিল, একসময় মক্কা থেকে রওনাও দিয়েছিল। কিন্তু অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব, আলোচনা ও টানাপোড়েনের পর একপর্যায়ে তারা যুদ্ধের পরিকল্পনা বাতিল করে মক্কায় ফিরে যায়। তারা অজুহাত দিয়েছিল। এই বছরটি বেশ কঠিন যাচ্ছে; খরা হয়েছে, বৃষ্টিও হয়েছে খুব সামান্য। এমন পরিস্থিতিতে এখন পরিবারের যত্ন নিতে হবে এবং যুদ্ধের জন্য শক্তি সঞ্চয় করতে হবে, ইত্যাদি ।
কিন্তু মুসলিমরা কোনো অজুহাত দাঁড় করাননি, তাঁরা বদরে কুরাইশদের অপেক্ষায় ছিলেন। এভাবে দেখা যাচ্ছে, দুই পক্ষের শক্তির জায়গাটিতে পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে; মুসলিমরা আরও শক্তিশালী হচ্ছেন, আর কুরাইশরা দুর্বলতর হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ