জুওয়ারিয়ার রা সদগুণসমূহ | আল-মুরাইসি ও বনু আল-মুস্তালিকের অভিযান, জুওয়ারিয়া (রা) ধর্মানুরাগ, রোজা ও উদারতার জন্য পরিচিত ছিলেন। একবার নবি করিম (সা) দেখলেন, জুওয়ারিয়া (রা) শুক্রবার রোজা রেখেছেন। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার কি এর আগের দিন কিংবা পরের দিন রোজা রাখার ইচ্ছা আছে?”
জুওয়ারিয়ার রা সদগুণসমূহ | আল-মুরাইসি ও বনু আল-মুস্তালিকের অভিযান | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

জুওয়ারিয়া: না, আমি আজ শুক্রবারই কেবল রোজা রাখছি। নবিজি (সা): তাহলে কেবল শুক্রবারকে রোজা রাখার দিন হিসেবে বেছে নিও না। অর্থাৎ আমরা শুক্রবারকে যেন রোজার রাখার জন্য নির্দিষ্ট করে শরিয়তের বিধান না করি। যদি শুক্রবারে রোজা রাখতে চাই, তবে ওই দিনের সঙ্গে মিলিয়ে আগের কিংবা পরের একদিন রোজা রাখতে পারি।

আরও একদিনের ঘটনা নবিজি (সা) জুওয়ারিয়ার বাড়ি থেকে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য বের হচ্ছেন। তিনি দেখলেন, জুওয়ারিয়া তাঁর নামাজের স্থানে বসে ‘জিকির’ (আল্লাহর স্মরণ করছেন। নবিজি (সা) দুপুরে বাড়ি ফিরে এসে দেখলেন, তিনি তখনও ঠিক একই জায়গায় বসে জিকির করছেন। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি ফজরের পর থেকে এই একই জায়গায় রয়েছ?” জুওয়ারিয়া (রা): হ্যাঁ।
নবিজি (সা): আমি কি তোমাকে একটি বিশেষ জিকিরের কথা বলব যা করলে তুমি এতক্ষণ ধরে যে পুণ্য অর্জন করেছ তার সবই পাবে? তারপর তিনি তাঁকে একটি সুন্দর জিকির শেখান, যা ইমান ও ইখলাসের (আন্তরিকতার) সঙ্গে সঠিকভাবে করলে কয়েক ঘণ্টার সওয়াব একবারেই পাওয়া যাবে:
“সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, আদাদা খালকিহি, ওয়া রিদা নাফসিহি, ওয়া জিনাতা আরশিহি, ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি।” অর্থাৎ, “আল্লাহর সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করি; তাঁর সৃষ্টির সমান সংখ্যক, তাঁর নিজ মর্জি অনুযায়ী, তাঁর আরশের ওজন বরাবর ও তাঁর বাণীসমূহের সমান সংখ্যক প্রশংসা।” হওয়ারিয়া (রা) ৬৫ বছর বয়সে ৫০ হিজরিতে ইন্তেকাল করেন। একই বছর হাসানও (রা) পরলোকগমন করেন ।
আরও পড়ুনঃ