জুবায়ের ইবনুল আওয়াম (রা) | দ্বিতীয়বারের ওহি | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

জুবায়ের ইবনুল আওয়াম (রা) | দ্বিতীয়বারের ওহি, পৃথিবীতে নবিদের আগমনের উদ্দেশ্য কী? আমাদের কেনই বা তাঁদেরকে প্রয়োজন? এই বিষয়টিই ইব্রাহিমের (আ) ধর্মের অনুসারীদের সঙ্গে বাকি মানবজাতির পার্থক্য তৈরি করে। আমরা (ইব্রাহিমের অনুসারীরা) বিশ্বাস করি, মানবজীবনের জন্য চূড়ান্ত ‘হিদায়া’ বা দিকনির্দেশনা কেবল আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার পক্ষ থেকে নবি-রসুলগণের মাধ্যমেই আসে। অনেক মানুষই বিশ্বাস করে, জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় রীতিনীতি ও দিকনির্দেশনা তারা নিজেরাই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে খুঁজে পেতে পারে। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, আল্লাহ তায়ালার প্রদত্ত বিধানই সর্বোত্তম বিধান। চূড়ান্ত বিধান দেওয়ার অধিকার একমাত্র আল্লাহরই রয়েছে।

 

জুবায়ের ইবনুল আওয়াম (রা) | দ্বিতীয়বারের ওহি | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

আমাদের জন্য সর্বোত্তম ও সর্বাপেক্ষা উপযোগী কী হবে তা আল্লাহ তায়ালাই সবচেয়ে ভালো জানেন; এ কারণেই তিনি মানবজাতির কাছে একের পর এক নবি পাঠিয়েছেন। এই সত্য অস্বীকার করা আল্লাহর করুণা ও শক্তি অস্বীকার করারই শামিল। পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে যারা বলে, ‘হ্যাঁ, আল্লাহ্ আমাদের সৃষ্টি করেছেন; কিন্তু তখন তিনি আমাদের নিজেদের মতো করে থাকতে দিয়েছেন, এবং এখন আমাদের জন্য তাঁর আর কিছুই করার নেই।’ আসলে এমন কথা বলা আল্লাহ আজ্জা ওয়াজালকে অপমান করার শামিল।

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

পবিত্র কোরানে আছে, “আর তারা আল্লাহর যথাযোগ্য মর্যাদা উপলব্ধি করেনি যখন তারা বলে, “আল্লাহ মানুষের কাছে কিছুই নাজিল করেননি।”  [সুরা আনআম, ৬:৯১] তিনি (আল্লাহ) কিছুই প্রেরণ করেননি, একথা বলার মধ্য দিয়ে তারা আল্লাহকে অপমান করে। আমরা বলি, আল্লাহ নিশ্চয়ই আমাদের ভালোবাসেন। তাই তিনি শুরু থেকে শেষ অবধি আমাদের কাছে নবি পাঠিয়েছেন। নবিদের পাঠানো আমাদের প্রতি আল্লাহর ভালোবাসারই নিদর্শন। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া সত্য জ্ঞান মানুষের মধ্যে টিকিয়ে রাখার জন্যও নবিদের প্রয়োজন।

জুবায়ের ইবনুল আওয়াম (রা) | দ্বিতীয়বারের ওহি | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

জুবায়ের ইবনুল আওয়াম (রা) | দ্বিতীয়বারের ওহি | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

জুবায়ের ইবনুল আওয়ান (রা) ছিলেন আবু বকরের (রা) মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হওয়া তৃতীয় ব্যক্তি। তিনি ছিলেন নবিজির (সা) আপন ফুপাতো ভাই। তাঁর মা ছিলেন সাফিয়া বিনতে আবদুল মুত্তালিব। জুবায়ের ছিলেন একাধারে সাহাবি, একজন সাহাবির পুত্র, একজন সাহাবির পিতা এবং একজন সাহাবির ভাই। এই অর্থে তিনি ছিলেন সাহাবিদের মধ্যে অন্যতম সেরা মর্যাদাবান। রসুল (সা) বলেছেন, “প্রত্যেক নরিকে একজন করে বিশেষ শিষ্য দেওয়া হয়েছে; আল্লাহ আমাকে আমার শিষ্য হিসেবে নিয়েছেন জুবায়ের ইবনুল আওয়ামকে।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment