বিলাপ করা নিষিদ্ধ | ওহুদের যুদ্ধ-৫, তারপর নবিজি (সা) মদিনায় ফিরে এলেন। শহরে ঢোকার মুখে নারী ও শিশুরা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিল কারা ফিরেছে আর আর কারা ফেরেনি। তারা কিছুক্ষণের মধ্যেই বিলাপ শুরু করে দিল। শরিয়তে তখনও বিলাপ করা-নিষিদ্ধ ছিল না। নারীরা উচ্চস্বরে বিলাপের সঙ্গে কথাও বলছিল। যেমন, আমরা এখন কীভাবে বাঁচব? এখন কে আমাদের দেখভাল করবে? আমি তাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না, ইত্যাদি। কখনও তারা নিজেরা নিজেদের গায়ে আঘাত করছিল, পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলছিল।
বিলাপ করা নিষিদ্ধ | ওহুদের যুদ্ধ-৫ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

কিছু বর্ণনা অনুসারে পুরো মদিনা জুড়েই হাহাকার শুরু হয়ে গেল। নবিজি (সা) বাড়ি পৌঁছার পর বললেন, “হামজার জন্য বিলাপ করার লোক কোথায়?” তাঁর এই কথা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল। আনসারদের স্ত্রীরা নবিজি (সা) বাড়ির বাইরে জড়ো হয়ে হামজার (রা) জন্য কাঁদতে শুরু করলেন। নবিজির (সা) বাড়ির বাইরে এসে তাদের প্রশংসা করলেন এবং একটি সাধারণ ‘ডিক্রি’ (আদেশ) জারি করলেন: এখন থেকে মৃতদের জন্য বিলাপ করা হারাম।

বাচ্চার নামকরণ
আল-হাকিমের ‘মুস্তাদরাক থেকে জানা যায়, ওহুদের যুদ্ধের পরপরই একজন আনসারি নারী সন্তান প্রসব করেন। তার স্বামী নবিজির (সা) কাছে গিয়ে বললেন, “আমাদের সন্তানের কী নাম রাখতে পারি?” নবিজি (সা) তাঁকে বললেন, “তার নাম রাখো আমার সবচেয়ে প্রিয় নাম, হামজা।”
পরে নবিজি (সা) বলেছিলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সবচেয়ে প্রিয় দুটি নাম হলো: আবদুল্লাহ এবং আবদ আল-রহমান (বর্ণান্তরণ করলে আবদুল রহমান বা আবদুর রহমান)
আরও পড়ুনঃ