ভুলের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করা | হুদায়বিয়ার সন্ধি ( চুক্তি )-৫, কেউ ভুল করলে তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার বিষয়টিও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উমর (রা) একটি ভুল করেছিলেন, কিন্তু তিনি ভালো কাজ করে ক্ষতিপূরণের চেষ্টা করেছেন। আমরা দেখছি, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার ক্ষমা পাওয়ার সর্বোত্তম উপায় নেক আমল বৃদ্ধি করা। এ কারণেই প্রকৃত তওবা আমাদের জীবনধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
ভুলের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করা | হুদায়বিয়ার সন্ধি ( চুক্তি )-৫ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

আল্লাহ বলেছেন: “যারা তওবা করে, ইমান আনে এবং সৎকাজ করে, আল্লাহ তায়ালা এমন লোকদের (পেছনের) পাপসমূহ তাদের পুণ্যের দ্বারা বদলে দেবেন। আল্লাহ তো ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।” [সুরা ফোরকান, ২৫:৭৭০] এই আয়াত অনুসারে, তওবার সঙ্গে ভালো কাজ করা যুক্ত বা সম্পর্কিত।
অ-সুন্নি গোষ্ঠীর অভিযোগ

হুদায়বিয়ার দিন উমর (রা) যা করেছিলেন তা যে মাত্রা অতিক্রম করে গিয়েছিল সে বিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, কিছু অ-সুন্নি গোষ্ঠী এই ঘটনাকে ব্যবহার করে উমর (রা) সম্পর্কে এমন কিছু বলে যা হাস্যকর। লক্ষ করতে হবে, উমরের (রা) রাগ তাঁর নিজের অহংবোধ থেকে আসেনি। ওহুদের যুদ্ধের সময় আবদুল্লাহ ইবনে উবাই বলেছিল, ‘আমি আপনার কথা শুনব না, হে মুহাম্মদ’; এটা ছিল অহংকার থেকে উদ্ভূত মুনাফেকি ও কুফরি। • কিন্তু উমরেরটা ছিল ইমান এবং ইসলামের প্রতি ভালোবাসা থেকে উদ্ভূত অতিরিক্ত আবেগের কারণে সৃষ্ট ভুল। সুতরাং উমরের (রা) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।
আমরা কি শাসকের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করতে পারি?
হুদায়বিয়ার চুক্তির একপাক্ষিক শর্তের কারণে উমরের (রা) প্রতিক্রিয়া এবং নবিজির (সা) জবাব ও আত্মপক্ষ সমর্থনের ঘটনা থেকে আমরা যে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাটি পাই তা হলো: নেতার বা শাসকের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করা, এমনকি আদবকায়দার সাথে তর্ক করাও ইসলামি শরিয়তে অনুমোদিত। অর্থাৎ, শাসকের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করার সুযোগ আছে। আপনি শাসকের সমালোচনা করতে পারেন, তাকে বিকল্প পরামর্শও দিতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনি আল্লাহ এবং তাঁর রসুলকে নিয়ে ঠাট্টা-মস্করা করতে পারবেন না। আপনার তর্ক-বিতর্ক করার স্বাধীনতা আছে, তবে সে ক্ষেত্রে একটি সীমারেখা থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ