জাহের, নস, মুফাচ্ছার ও মুহকাম আজকের আলোচনার বিষয়। “জাহের, নস, মুফাচ্ছার ও মুহকাম” ক্লাসটি “উসূলে ফিকহ [ Principles of Islamic ]” অধ্যায়ের পাঠ, যা ১০ম শ্রেণীতে [Class- 10] পড়ানো হয়। “জাহের, নস, মুফাচ্ছার ও মুহকাম” পাঠটি “আকাঈদ ও ফিকহ” বিষয়ের অংশ। যা “উসূলে ফিকহ [ Principles of Islamic ]” অধ্যায়ে ৬ষ্ঠ পাঠে পড়ানো হয়।
Table of Contents
জাহের, নস, মুফাচ্ছার ও মুহকাম
মুহকামাত ও মুতাশাবিহাত ( আরবি: محکم و متشابه ) হলো দুটি আরবি শব্দ যা কুরআনে ব্যবহৃত হয়েছে। মুহকামাতকে অর্থ মজবুত, সুদঢ়, শক্ত, সঠিক, যথাযথ, সুসংহত, প্রমাণিত ইত্যাদি। যেহেতু এ আয়াতগুলোর অর্থ সহজে করা যায় এবং তা সঠিক, সুদৃঢ়, মজবুত তাই এ নাম। এবং মুতাশাবিহাতকে ” রূপক “, সন্দেহ সূচক, দ্ব্যর্থবোধক অর্থে অনুবাদ করা হয়।

কুরআনের অনুচ্ছেদ
“তিনিই আপনার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন; এর কিছু আয়াত নির্ণায়ক ( মুহকামাত ), সেগুলি কিতাবের ভিত্তি, এবং অন্যগুলো হলো রূপক ( মুতাশাবিহাত ), তারপর যাদের মনে বক্রতা আছে তারা ফিতনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সবসময় মুতাশাবিহাতের পিছনে লেগে থাকে এবং তার অর্থ করার চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু আল্লাহ ছাড়া কেউ এর ব্যাখ্যা জানে না, এবং বিপরীত পক্ষে পরিপক্ক জ্ঞানের অধিকারীরা বলে, আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি, এসব আমাদের রবের পক্ষ থেকেই এসেছে। আর প্রকৃতপক্ষে জ্ঞানবান লোকেরাই কোন বিষয় থেকে সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে৷”
ভাষ্য
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন, “[জ্ঞানের মূলে যারা আছে] তারাই যাদেরকে জ্ঞান কোনো হুকুম (হাওয়া) বা নির্দিষ্ট যুক্তি (হুজাজ মারুবা) ছাড়াই [কুরআনের ব্যাখ্যায়] নিমজ্জিত হওয়া থেকে রক্ষা করেছে। অদেখা [রহস্য] (গায়েব) সম্পর্কে [সচেতনতা]।”
জাহের, নস, মুফাচ্ছার ও মুহকাম নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও দেখুনঃ