কুরাইশদের যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ | খন্দকের (আহজাবের) যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

কুরাইশদের যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ | খন্দকের (আহজাবের) যুদ্ধ-৪, তারপর আবু সুফিয়ান তার সেই গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শুরু করল: “হে আমার সম্প্রদায়, আমরা আমাদের বাড়িঘর ছেড়ে অনেকদিন হলো এখানে এসেছি। আমরা এখানে অনন্তকাল ধরে থাকতে পারব না। আমাদের প্রাণীগুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে, আমাদের ঘোড়াগুলোও এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে বনু কুরায়জাও আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।”

কুরাইশদের যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ | খন্দকের (আহজাবের) যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

কুরাইশদের যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ | খন্দকের (আহজাবের) যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

আবু সুফিয়ানের দৃষ্টিতে সাবাথের বিষয়টি হাস্যকর রকমের সাজানো পল্প যা ব্যবহার করে তারা শনিবারে যুদ্ধ না করার বাহানা দেখাচ্ছে। তার কাছে তা স্পষ্টতই বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। সে বলে চলল, “এখন তো তোমরা এই কনকনে বাতাসও দেখতে পাচ্ছ, যা আমাদের সত্যিই কাবু করে ফেলছে। বাতাসের কারণে আগুনের উপর একটি পাত্রও বসাতে পারছি না, এমনকি আগুনও জ্বলছে না।”

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

বাতাসের তোড়ে পাত্রগুলো উল্টে যাচ্ছিল। এ ছিল ভয়ংকর রকমের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ এক অবস্থা, মরুভূমিতে তীব্র বাতাসের প্রকোপে যা ধূলিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আবু সুফিয়ান বলল, “তোমরা তো দেখতেই পাচ্ছ, বাতাস কীভাবে আমাদের ক্ষতি করছে। আশ্রয় নেওয়ার জন্য আমাদের এখন একটি ঘরও নেই। তাই আমি মনে করি আমাদের সবারই এখন ফিরে যাওয়া উচিত। তোমরা যে যা- ই কর, আমি ফিরে যাচ্ছি।” অর্থাৎ সে হাল ছেড়ে দিয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে তার উটের পিঠে চড়ে বসল এবং দ্রুতই মক্কার পথে রওয়ানা হলো। তা দেখে কুরাইশদের পুরো দলটি তার পেছন পেছন যাত্রা শুরু করল।

 

কুরাইশদের যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ | খন্দকের (আহজাবের) যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

হুদায়ফা বর্ণনা করেছেন, “আমি আবু সুফিয়ানকে হত্যা করার আরেকবার একটি সহজ সুযোগ পেয়েছিলাম। সে ছিল একদমই নিরাপত্তাহীন অবস্থায়। কিন্তু আবারও আমার নবিজির (সা) কথাটা মনে পড়ে গেল। তাই আমি তাকে যেতে দিলাম।”

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment