নবিজির (সা) সঙ্গে প্রধান সাহাবিদের যোগ দেওয়া | ওহুদের যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

নবিজির (সা) সঙ্গে প্রধান সাহাবিদের যোগ দেওয়া | ওহুদের যুদ্ধ-৪, তার পর পরই আবু বকর (রা), উমর ইবনুল খাত্তাব (রা), আলি ইবনে আবি তালিব (রা), জুবায়ের ইবনুল আওয়াম (রা) এবং আরও কজন বিশিষ্ট সাহাবি নবির (সা) সঙ্গে যোগ দেন।

নবিজির (সা) সঙ্গে প্রধান সাহাবিদের যোগ দেওয়া | ওহুদের যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

নবিজির (সা) সঙ্গে প্রধান সাহাবিদের যোগ দেওয়া | ওহুদের যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

[জুবায়ের ইবনুল আওয়াম (রা) ছিলেন নবিজির (সা) বিশেষ শিষ্য ও সহচর। তিনি নবিজির (সা) সঙ্গে একাধিক সূত্রে সম্পর্কিত ছিলেন:

১) জুবায়ের আয়েশার (রা) বোন আসমা বিনতে আবু বকরকে বিয়ে করেছিলেন; সেই সূত্রে তিনি নবিজির (সা) ভায়রা।

২) জুবায়েরের মা সাফিয়া ছিলেন নবিজির (সা) ফুপু: সেই সূত্রে তিনি নবিজির (সা) ফুপাতো ভাই।

৩) জুবায়েরের বাবা আল-আওয়াম ছিলেন সম্পর্কে খাদিজার (রা) ভাই; সেই সূত্রে সম্পর্কে তিনি নবিজিরও (সা) ভাতিজা |

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আবু বকর (রা) বর্ণনা করেছেন, “আমি নবিজির (সা) কাছে যাওয়ার সময় দেখলাম, আরেক লোক আমাকে অতিক্রম করে ছুটে চলেছেন। তিনি ছিলেন আবু উবাইদা আমির ইবনুল জাররা। এক সময় আমরা দুজন নবিজির (সা) কাছে গিয়ে দেখলাম, দুটি তির তাঁর হেলমেট ভেদ করে ঢুকে আছে।”

অন্য কিছু বর্ণনায় আছে, একটি ভির নবিজির (সা) হেলমেটে এবং আরেকটি তির বর্মের ভাঙা অংশ দিয়ে ঢুকেছিল। আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন। নবিজিকে (সা) এই অবস্থায় দেখতে পেয়ে তির দুটি অপসারণের জন্য আৰু বকর (রা) দ্রুত এগিয়ে যান। কিন্তু আবু উবাইদা আবু বকরকে বারবার অনুরোধ করেন যেন তির বের করার কাজটি তাঁকে দেওয়া হয়। আৰু বকর তা মেনে নেন।

এখন সমস্যা হলো, কীভাবে তির দুটি অপসারণ করবেন? আবু উবায়দা দেরি না করে একটি তির দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে ধীরে ধীরে টেনে বের করে আনেন। তিনি এত শক্তভাবে কামড়ে ধরেছিলেন যে, তাঁর একটি বা দুটি দাঁত  ভেঙে যায়। নিজের কষ্ট নিয়ে তাঁর মাথাব্যথা ছিল না; তিনি চাচ্ছিলেন নবিজির (সা) ব্যথা যেন দ্রুত কমে যায় ।

 

নবিজির (সা) সঙ্গে প্রধান সাহাবিদের যোগ দেওয়া | ওহুদের যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

একপাশের তিরটি অপসারণের পর আবু বকর (রা) জোর দিয়ে বলেন, অন্যপাশেরটি সরানো এখন তাঁর পালা। কিন্তু আবু উবায়দা তাঁকে বলেন, “না। আমি যেহেতু একদিকেরটা করেছি, অন্য দিকেরটাও করব।” এবারও তিনি একই কাজ করেন; দাঁত ব্যবহার করে তির ওঠাতে গিয়ে নিজের আরও একটি/দুটি দাঁত ভেঙে ফেলেন। আবু উবায়দা বাকি জীবন এই তিন-চারটি দাঁত ছাড়াই চলেছেন।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment