সুমামা প্রকৃত মুসলিম হয়েছিলেন | খন্দক ও হুদায়বিয়ার মাঝে ছোট ছোট অভিযান, নবিজির (সা) করা দোয়ার ফল একের পর এক পাওয়া যাচ্ছিল। এ থেকে আমরা আল্লাহর কাছে নবিজির (সা) বিশেষ অবস্থান এবং উচ্চ মর্যাদার প্রমাণ পাই । আল্লাহ মুমিনদের বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করেন। সুমামা ছিলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে পাওয়া তেমনি একটি উপহার।
সুমামা প্রকৃত মুসলিম হয়েছিলেন | খন্দক ও হুদায়বিয়ার মাঝে ছোট ছোট অভিযান | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

যেহেতু তিনি ছিলেন বনু হানিফা গোত্রের নেতা, সেহেতু তাঁর ইসলাম গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর গোত্রের অধিকাংশ লোকই ইসলাম গ্রহণ করে। ফলে, মুমিনদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ভদ্রতা ও সদাচরণ আমাদের যা দিতে পারে কঠোরতা ও দুর্ব্যবহার তা দিতে পারে না। তিন দিন ধরে সুমামাকে অত্যন্ত সম্মান ও যত্নের সঙ্গে রাখা হয়েছিল। তিন দিন পরে নবিজি (সা) তো তাঁকে মুক্তিই দিয়ে দিলেন! এসব দেখে ইসলামের প্রতি তাঁর মন নরম হয়।
অমুসলিমদেরও মসজিদে প্রবেশের অনুমতি আছে। পুরো সিরাহে অমুসলিমদের মসজিদে প্রবেশ এবং সেখানে থাকার অনেক উদাহরণ আছে। নবিজি (সা) নাজরানের খ্রিষ্টানদের মসজিদে শুধু থাকতেই দেননি, তাদের সেখানে উপাসনা করারও অনুমতি দিয়েছিলেন। কোনো অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করার আগে তার গোসল করা উচিত। এটি একটি সুপরিচিত ইসলামি রীতি। এমনকি সুমামাও জানতেন যে তাঁকে ইসলাম গ্রহণ করার আগে গোসল করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে গোসল করা বাধ্যতামূলক (ওয়াজিব) নয়, তবে তা করা ভালো। এটা নিজেকে পবিত্র করার একটি প্রতীকী পন্থা। ৬. কোনো অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করলে সে যেন তার চলমান ভালো কাজটি বন্ধ না করে। সুমামা ওমরা করার জন্য যাত্রা শুরু করেছিলেন, নবিজি (সা) তাঁকে তা শেষ করতে বলেন।
সুমামা প্রকৃত মুসলিম হয়েছিলেন
সুমামা ইবনে উসালের গোত্র বনু হানিফায় মুসায়লিমা আল-কাজ্জাব নামে এক কুখ্যাত ব্যক্তি ছিল। সে নিজেকে নবি বলে দাবি করেছিল। সে ১১-১২ হিজরি সালে মিথ্যা-নবুয়ত ঘোষণা করলে তৎকালীন খলিফা আবু বকর (রা) তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন, যা ‘রিদ্দার যুদ্ধ’ নামে পরিচিত। সেই যুদ্ধে সুমামা মুসলিমদের পক্ষ নিয়ে নিজ গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই যে, তিনি আন্তরিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি শহিদ হিসেবে মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুনঃ