সূরা আত্ব তূর | সূরা ৫২

সূরা আত্ব তূর আজকের ভিডিও এর বিষয়। “সূরা আত্ব তূর (তূর পাহাড়) [ Surah At-Tur (Tur Hill) ]” আল-কুরআনের [ Al-Quran ] ৫২তম সূরা বা অধ্যায় [ Surah/Chapter 52], এর আয়াত সংখ্যা ৪৯টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ২টি। আত্ব তূর (At-Tur) শব্দের অর্থ তূর পাহাড় (Tur Hill)। সূরা আত্ব তূর (তূর পাহাড়) [ Surah At-Tur (Tur Hill) ] মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। তাই এটি মাক্কী সূরা [ Makki Surah ]।

 

সূরা আত্ব তূর

সূরা আত্ব তূর (আরবি ভাষায়: الطّور ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৫২ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৪৯ এবং এর রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আত্ব তূর মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটির প্রথম শব্দ وَالطُّورِ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরা وَالطُّورِ (‘আত্ব তূর’) শব্দটি দ্বারা শুরু হয়েছে এটি সেই সূরা।

 

সূরা আত্ব তূর

 

وَ الطُّوۡرِ ۙ﴿۱﴾

১. শপথ তূর পর্বতের(১),

(১) বলা হয়ে থাকে যে, সুরিয়ানী ভাষায় طور (তুর) এর অর্থ পাহাড়, যাতে লতাপাতা ও বৃক্ষ উদগত হয়। এখানে তুর বলে মাদইয়ানে অবস্থিত তুরে-সিনীন বোঝানো হয়েছে। এই পাহাড়ের উপর মুসা আলাইহিস সালাম আল্লাহ তা’আলার সাথে বাক্যালাপ করেছিলেন। তুরের কসম খাওয়ার দ্বারা মহান আল্লাহ এ পাহাড়টিকে সম্মানিত করেছেন। [ফাতহুল কাদীর; কুরতুবী]

 

وَ کِتٰبٍ مَّسۡطُوۡرٍ ۙ﴿۲﴾

২. শপথ কিতাবের, যা লিখিত আছে(১)

(১) লিখিত কিতাব বলে মানুষের আমলনামা বোঝানো হয়েছে, না হয় কোন কোন তফসীরবিদের মতে পবিত্র কুরআন বোঝানো হয়েছে। আবার কারো কারো মতে এর দ্বারা লাওহে মাহফুজই বুঝানো হয়েছে। কারো কারো মতে এর দ্বারা সকল আসমানী কিতাবকে বোঝানো হয়েছে। [ফাতহুল কাদীর]

 

فِیۡ رَقٍّ مَّنۡشُوۡرٍ ۙ﴿۳﴾

৩. উন্মুক্ত পাতায়(১);

(১) رق শব্দের আসল অর্থ লেখার জন্যে কাগজের স্থলে ব্যবহৃত পাতলা চামড়া। তাই এর অনুবাদ করা হয় পত্র। [ফাতহুল কাদীর]

 

وَّ الۡبَیۡتِ الۡمَعۡمُوۡرِ ۙ﴿۴﴾

৪. শপথ বায়তুল মামুরের(১),

(১) আকাশস্থিত ফেরেশতাদের কাবাকে বায়তুল মামুর বলা হয়। এটা দুনিয়ার কা’বার ঠিক উপরে অবস্থিত। হাদীসে আছে যে, মে’রাজের রাত্রিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বায়তুল মামুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এতে প্রত্যহ সত্তর হাজার ফেরেশতা ইবাদতের জন্যে প্রবেশ করে। এরপর তাদের পুনরায় এতে প্রবেশ করার পালা আসে না। প্রত্যহ নতুন ফেরেশতাদের নম্বর আসে। [বুখারী: ৩২০৭, মুসলিম: ১৬২] সপ্তম আসমানে বসবাসকারী ফেরেশতাদের কা’বা হচ্ছে বায়তুল মামুর।

এ কারণেই মেরাজের রাত্রিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এখানে পৌছে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-কে বায়তুল মামুরের প্রাচীরে হেলান দিয়ে উপবিষ্ট অবস্থায় দেখতে পান। [বুখারী: ৩২০৭] তিনি ছিলেন দুনিয়ার কা’বার প্রতিষ্ঠাতা। আল্লাহ তা’আলা এর প্রতিদানে আকাশের কা’বার সাথেও তাঁর বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করে দেন। প্রতি আসমানেই ফেরেশতাদের জন্য একটি ইবাদতঘর রয়েছে। প্রথম আসমানের ইবাদতঘরের নাম ‘বাইতুল ইযযত’৷ [ইবন কাসীর]

 

সূরা মুহাম্মদ

 

সূরা আত্ব তূর সুরা পাঠঃ

 

আরও দেখুনঃ 

Leave a Comment