সূরা আল আছর | সূরা ১০৩

সূরা আল আছর পাঠ [ Repetition ] আজকের ভিডিও এর বিষয়। “সূরা আল-আছর (সময়) [ Surah Al-Ashr (Time) ]” আল-কুরআনের [ Al-Quran ] ১০৩তম সূরা বা অধ্যায় [ Surah/Chapter 103], এর আয়াত সংখ্যা ৩টি। সূরা আল-আছর [ Surah Al-Ashr (Time) ] শব্দের অর্থ সময় (Time)। সূরা আল-আছর (সময়) [ Surah Al-Ashr (Time) ] মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। তাই এটি মাক্কী সূরা [ Makki Surah ]।

 

সূরা আল আছর

সূরা আসর মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৩ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৩ টি। সূরা আসর কুরআনের একটি সংক্ষিপ্ত সূরা, তবে এটি মুসলামানদের কাছে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ একটি সূরা এবং অনেক মুসলিম মনে করেন যে, মানুষ এই সূরাটিকেই চিন্তা ভাবনা সহকারে পাঠ করলে তাদের ইহকাল ও পরকাল সংশোধনের জন্যে যথেষ্ট হয়ে যাবে।

এ সূরার বক্তব্য অনুসারে, আল্লাহ যুগের কসম করে বলেন যে, মানবজাতি অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এবং এই ক্ষতির কবল থেকে কেবল তারাই মুক্ত আছে, যারা চারটি বিষয় নিষ্ঠার সাথে পালন করে: ঈমান বা স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস, সৎকর্ম, অপরকে সত্য ও ধৈর্য্য রাখার উপদেশ দান।

 

সূরা আল আছর

 

নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান

মুজাহিদ , কাতাদাহ ও মুকাতিল একে মাদানী বলেছেন । কিন্তু মুফাসসিরগণের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ একে মক্কী সূরা হিসেবে গণ্য করেছেন। আর এই সূরার বিষয়বস্তু সাক্ষ্য দেয় , এটি মক্কী যুগেরও প্রাথমিক পর্যায়ে নাযিল হয়ে থাকবে। সে সময় ইসলামের শিক্ষাকে সংক্ষিপ্ত ও অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী বাক্যের সাহায্যে বর্ণনা করা হতো। এভাবে শ্রোতা একবার শুনার পর ভুলে যেতে চাইলেও তা আর ভুলতে পারতো না এবং আপনা আপনি লোকদের মুখে তা উচ্চারিত হতে থাকতো।

 

শানে নুযূল

ওলীদ ইবনে মুগিরা, আস ইবনে ওয়াইল, আসওয়াদ ইবনে মুত্তালিব প্রমু বলতেন যে, মুহাম্মদ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে (তাদের কথার অসারতা প্রমাণ করে) আল্লা সূরাটি নাযিল করেন। জাহিলিয়া যুগে আবু বকর সিদ্দিকের সাথে কালাদাহ ইবনে উসায়েদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কালাদাহ প্রায়ই তার নিকট যাতায়াত করতো।

আবু বকর ইসলাম গ্রহণের পর একদিন সে তার নিকট এসে বললো, “হে আবু বকর! তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে ? ব্যবসা-বাণিজ্যে তো ভাটা লেগেছে। আয়-রোজগারের পথ তো প্রায় বন্ধ। তুমি কোন ধারণায় নিমজ্জিত হয়েছো ? নিজেদের ধর্মকর্মও হারিয়েছ এবং দুনিয়াও হারিয়েছ। তুমি এখন উভয় দিক দিয়ে পূর্ণরূপে লোকসানে নিপতিত।”

আবু বকর বললেন, “হে নির্বোধ! যে লোক আল্লাহ তাআলা ও তার রাসুলের গোলাম হয়ে যায়, সে কখনো লোকসানে নিপতিত হয় না। যারা পরকাল সম্পর্কে কোনই চিন্তাভাবনা করে না মূলত তারাই ক্ষতিগ্রস্ত, তারাই লোকসানে নিপতিত। যারা কেবল জাগতিক উন্নতি লাভের জন্যই সদা চিন্তামগ্ন ও ব্যস্ত থাকে, তারাই একূল-ওকূল উভয় কূলই হারায়।” আবু বকরের কথার সত্যতা প্রমাণ এবং এ ঘটনাকে উপলক্ষ করে এ সূরা অবতীর্ণ হয়।

 

সূরা আত তাকাসুর

 

সূরা আল আছর সুরা পাঠঃ

 

আরও দেখুনঃ 

Leave a Comment