সূরা আল মুজাম্মিল আজকের ভিডিও এর বিষয়। “সূরা আল মুজাম্মিল (বস্ত্রাচ্ছাদনকারী) [ Surah Al Muzammil (The Veiler) ]” আল-কুরআনের [ Al-Quran ] ৭৩তম সূরা বা অধ্যায় [ Surah/Chapter 73], এর আয়াত সংখ্যা ২০টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ২। সূরা আল মুজাম্মিল (Surah Al Muzammil) শব্দের অর্থ বস্ত্রাচ্ছাদনকারী (The Veiler)। সূরা আল মুজাম্মিল (বস্ত্রাচ্ছাদনকারী) [ Surah Al Muzammil (The Veiler) ] মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। তাই এটি মাক্কী সূরা [ Makki Surah ]।
সূরা আল মুজাম্মিল
সূরা আল মুজাম্মিল (আরবি ভাষায়: المزّمّل) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৭৩ তম সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২০ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আল মুজাম্মিল মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটির প্রথম আয়াতের الْمُزَّمِّلُ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে المزّمّل (‘মুজাম্মিল’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।

یٰۤاَیُّهَا الۡمُزَّمِّلُ ۙ﴿۱﴾
হে বস্ত্রাবৃত!
যখন এই আয়াতগুলি অবতীর্ণ হয় তখন নবী (সাঃ) চাদর গায়ে দিয়ে শুয়ে ছিলেন। আল্লাহ তাঁর এই অবস্থার চিত্র তুলে ধরে সম্বোধন করলেন। অর্থাৎ, এখন চাদর ছেড়ে দাও এবং রাতে সামান্য কিয়াম কর (জাগরণ কর); অর্থাৎ, তাহাজ্জুদের নামায পড়। বলা হয় যে, এই নির্দেশের ভিত্তিতে তাহাজ্জুদের নামায তাঁর উপর ওয়াজেব ছিল। (ইবনে কাসীর)
قُمِ الَّیۡلَ اِلَّا قَلِیۡلًا ۙ﴿۲﴾
রাতে সালাতে দাঁড়ান(১), কিছু অংশ ছাড়া,
(১) এখানে বিশেষভঙ্গিতে সম্বোধন করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে তাহাজ্জুদের আদেশ করা হয়েছে। বিভিন্ন বর্ণনা থেকে বোঝা যায় যে, আলোচ্য আয়াতসমূহ ইসলামের শুরুতে এবং কুরআন অবতরণের প্রাথমিক যুগে অবতীর্ণ হয়েছে। তখন পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয ছিল না। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত মে’রাজের রাত্ৰিতে ফরয হয়েছিল। এই আয়াতে তাহাজ্জুদের সালাত কেবল ফরযই করা হয়নি; বরং তাতে রাত্রির কমপক্ষে এক চতুর্থাংশ মশগুল থাকাও ফরয করা হয়েছে। আয়াতের মূল আদেশ হচ্ছে কিছু অংশ বাদে সমস্ত রাত্ৰি সালাতে মশগুল থাকা।
এই আদেশ পালনার্থে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম অধিকাংশ রাত্রি তাহাজ্জুদের সালাতে ব্যয় করতেন। ফলে তাদের পদদ্বয় ফুলে যায় এবং আদেশটি বেশ কষ্টসাধ্য প্রতীয়মান হয়। পূর্ণ এক বছর পর এই সূরার শেষাংশ (فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ) অবতীর্ণ হলে দীর্ঘক্ষণ সালাতে দন্ডায়মান থাকার বাধ্যবাধকতা রহিত করে দেয়া হয় এবং বিষয়টি ইচ্ছার উপর ছেড়ে দিয়ে ব্যক্ত করা হয় যে, যতক্ষণ সালাত আদায় করা সহজ মনে হয়, ততক্ষণ সালাত আদায় করাই তাহাজ্জুদের জন্যে যথেষ্ট। [ইমাম মুসলিম এই বিষয়বস্তু আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন, হাদীস নং: ৭৪৬]
সূরা আল মুজাম্মিল সুরা পাঠঃ
আরও দেখুনঃ