সূরা মুমিনূন পার্ট-১ [ চারিত্রিক গুণাবলী যা মুমিন বা বিশ্বাসী হওয়ার ‘বীজতলা ‘ বা মূলভিত্তি ] সূরা ২৩। কুরআন ।

সূরা মুমিনূন পার্ট-১ ,আল মু’মিনূন , (আরবি: سورة المؤمنون‎‎), (মুমিনগণ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ২৩ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ১১৮টি।

সূরা মুমিনূন পার্ট-১

সূরা মুমিনূন পার্ট-১

সূরা মুমিনূন

সূরা মুমিনূন (আয়াত ০১)

মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে,
Successful indeed are the believers.

قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ
Qad aflaha almu/minoona

YUSUFALI: The believers must (eventually) win through,-
PICKTHAL: Successful indeed are the believers

SHAKIR: Successful indeed are the believers,
KHALIFA: Successful indeed are the believers;

================

সূরা মু’মিনূন বা বিশ্বাসী – ২৩
১১৮ আয়াত, ৬ রুকু , মক্কী
[দয়াময় পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

ভূমিকা : এই সূরার মূল বক্তব্য হচ্ছে চারিত্রিক গুণাবলী যা মুমিন বা বিশ্বাসী হওয়ার ‘বীজতলা ‘ বা মূলভিত্তি। বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সেই রূপ পরিবেশের যখন সত্যকে অস্বীকার করা হয় এবং সত্যের অনুসারীদের অত্যাচার ও অপমানে জর্জরিত করা হয়। সত্য এক, অদ্বিতীয় এবং সন্দেহাতীত এবং শেষ পর্যন্ত সত্য চিরস্থায়ী। যারা পাপের রাস্তায় থাকে তাদের শেষ মুহুর্তের অনুতাপ গ্রহণযোগ্য হবে না।

এই সূরাটি মক্কাতে অবতীর্ণ সূরাগুলির শেষ দিকে অবতীর্ণ।

সার সংক্ষেপ : বিশ্বাসের বা ঈমানের ভিত্তি যখন বিনয়, প্রার্থনা ও দানের সাথে সমন্বিত হয়; অহংকার ও প্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে বিরত থাকে এবং জীবন যখন একনিষ্ঠ সততার দ্বারা পরিচালিত হয়, তখনই আত্মিক সাফল্যের শীর্ষে আরোহণ করা সম্ভব হয়। সেজন্য হয়তো তাঁকে মানুষের ঠাট্টা বিদ্রূপ সহ্য করতে হয় – যেমন করতে হয়েছিলো নূহ্‌ , মুসা এবং ঈসা নবীকে [ ২৩ : ১ – ৫০]।

আল্লাহ্‌র নবী – রসুলেরা এবং মোমেন বান্দারা একই ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। কিন্তু যারা বিভেদ সৃষ্টিকারী তারা কিছুতেই সত্য বিশ্বাসের বহু নিদর্শন প্রত্যক্ষ করা সত্বেও আল্লাহর মহত্ব ও করুণার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে না [ ২৩ : ৫১ – ৯২ ]।

মন্দকে ভালোর দ্বারা এবং আল্লাহ্‌র প্রতি বিশ্বাসের দ্বারা অবদমিত করতে হবে। পরলোকের জীবন অবশ্যাম্ভবী সত্য। যারা অবিশ্বাসী তারা পরলোকে অনুতাপ করার জন্য সুযোগ প্রার্থনা করবে। কিন্তু তখন তা হবে সূদূর পরাহত। [ ২৩ : ৯৩ – ১১৮ ]

অষ্টাদশ পারা

সূরা মু’মিনূন বা বিশ্বাসী – ২৩
১১৮ আয়াত, ৬ রুকু , মক্কী
[ দয়াময় পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

০১। বিশ্বাসীরা [শেষ পর্যন্ত ] জয়ী হবে, – ২৮৬৫

২৮৬৫। “Aflaha”- জয়লাভ করা , সমৃদ্ধি লাভ করা , সাফল্য লাভ করা, নির্দ্দিষ্ট অভীষ্টে পৌঁছানো , জাগতিক দুঃখ-কষ্ট ও পাপ থেকে মুক্তি লাভ করা। এই আয়াতটি ১০ এবং ১১ নম্বর আয়াতের সাথে সংযুক্ত। এই পৃথিবীতেই সাফল্য বা বিজয় আসতে পারে , কিন্তু মোমেন বান্দাদের জন্য পরলোকের সাফল্য স্থায়ী ও নির্ধারিত সত্য।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ০২)

যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র;
Those who offer their Salât (prayers) with all solemnity and full submissiveness.

الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ
Allatheena hum fee salatihim khashiAAoona

YUSUFALI: Those who humble themselves in their prayers;
PICKTHAL: Who are humble in their prayers,

SHAKIR: Who are humble in their prayers,
KHALIFA: who are reverent during their Contact Prayers (Salat).

০২। যারা সালাতে নিজেদের বিনয়ী রাখে , ২৭৬৬;

২৭৬৬। মোমেন বান্দাদের সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে যে সব বৈশিষ্ট্যের বা গুণাবলীর উল্লেখ করা হয়েছে তার শীর্ষে রয়েছে ‘বিনয়ের ” বা নম্রতার স্থান। সালাতে নম্রতার অর্থ : ১) আল্লাহ্‌র উপস্থিতি নিজের আত্মার মাঝে অনুভব করা এবং সেই মহাশক্তিধরের উপস্থিতিতে নিজের ক্ষুদ্রত্ব ও অসহায়ত্ব উপলব্ধি করা। ২) আল্লাহ্‌র সাহায্য ব্যতীত নিজস্ব ক্ষমতা বা শক্তি যে মূল্যহীন এই বোধ নিজের ভিতরে অনুভব করা ; ৩) নিজস্ব চাওয়া ও পাওয়াকে আল্লাহ্‌র নিকট নিবেদন করা এবং তা আল্লাহ্‌র করুণায় পাওয়ার আকাঙ্খা করা।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ০৩)

যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,
And those who turn away from Al-Laghw (dirty, false, evil vain talk, falsehood, and all that Allâh has forbidden).

وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ
Waallatheena hum AAani allaghwi muAAridoona

YUSUFALI: Who avoid vain talk;
PICKTHAL: And who shun vain conversation,

SHAKIR: And who keep aloof from what is vain,
KHALIFA: And they avoid vain talk.

০৩। যারা অসার বাক্য পরিহার করে;

০৪। যারা দান কাজে সক্রিয় ;

০৫। যারা [ অ-অনুমোদিত ] যৌন কাজ থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রাখে , ২৮৬৭

২৮৬৭। যৌন জীবন মানর জীবনচক্রের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কিন্তু এই জীবনকে উচ্ছৃঙ্খলভাবে ব্যয় করা চলবে না। সংযত যৌন জীবন যাপন আল্লাহ্‌র নির্দ্দেশ। মুসলমান সকল প্রকার যৌন অসংযতা থেকে দূরে থাকবে এবং ব্যভিচার ও উচ্ছৃঙ্খলতা থেকে নিজেকে পবিত্র রাখবে। দেখা গেছে সমাজে বিভিন্ন পাপের উৎপত্তি , জন্মলাভ করে থাকে ব্যভিচার থেকে। এ ব্যাপারে ফ্রয়েডের মনঃস্থাত্বিক বিশ্লেষণ এ কথা স্বীকার করে যে, মানুষের সুপ্ত বহু ইচ্ছা যৌন ইচ্ছার সাথে সম্পৃক্ত।

আমরা দৈনন্দিক জীবনে এর প্রতিফলন দেখে থাকি। খ্যাতি , প্রভাব-প্রতিপত্তি বা শ্রদ্ধার সর্বোচ্চ শিখর থেকে পতন ঘটে যৌন অধঃপতন থেকে। ইসলামের নির্দ্দেশ হচ্ছে বিবাহ বহির্ভূত যৌন জীবনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা। যৌন জীবনে বিবাহের মাধ্যমেই একমাত্র প্রবেশিধাকার লাভ করা যাবে এবং সেখানে নারী ও পুরুষের নিজস্ব অধিকারের ভিত্তিতে তা নিয়ন্ত্রিত হবে।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ০৪)

যারা যাকাত দান করে থাকে
And those who pay the Zakât .

وَالَّذِينَ هُمْ لِلزَّكَاةِ فَاعِلُونَ
Waallatheena hum lilzzakati faAAiloona

YUSUFALI: Who are active in deeds of charity;
PICKTHAL: And who are payers of the poor-due;

SHAKIR: And who are givers of poor-rate,
KHALIFA: And they give their obligatory charity (Zakat).

০৩। যারা অসার বাক্য পরিহার করে;

০৪। যারা দান কাজে সক্রিয় ;

০৫। যারা [ অ-অনুমোদিত ] যৌন কাজ থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রাখে , ২৮৬৭

২৮৬৭। যৌন জীবন মানর জীবনচক্রের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কিন্তু এই জীবনকে উচ্ছৃঙ্খলভাবে ব্যয় করা চলবে না। সংযত যৌন জীবন যাপন আল্লাহ্‌র নির্দ্দেশ। মুসলমান সকল প্রকার যৌন অসংযতা থেকে দূরে থাকবে এবং ব্যভিচার ও উচ্ছৃঙ্খলতা থেকে নিজেকে পবিত্র রাখবে। দেখা গেছে সমাজে বিভিন্ন পাপের উৎপত্তি , জন্মলাভ করে থাকে ব্যভিচার থেকে। এ ব্যাপারে ফ্রয়েডের মনঃস্থাত্বিক বিশ্লেষণ এ কথা স্বীকার করে যে, মানুষের সুপ্ত বহু ইচ্ছা যৌন ইচ্ছার সাথে সম্পৃক্ত।

আমরা দৈনন্দিক জীবনে এর প্রতিফলন দেখে থাকি। খ্যাতি , প্রভাব-প্রতিপত্তি বা শ্রদ্ধার সর্বোচ্চ শিখর থেকে পতন ঘটে যৌন অধঃপতন থেকে। ইসলামের নির্দ্দেশ হচ্ছে বিবাহ বহির্ভূত যৌন জীবনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা। যৌন জীবনে বিবাহের মাধ্যমেই একমাত্র প্রবেশিধাকার লাভ করা যাবে এবং সেখানে নারী ও পুরুষের নিজস্ব অধিকারের ভিত্তিতে তা নিয়ন্ত্রিত হবে।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ০৫)

এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে।
And those who guard their chastity (i.e. private parts, from illegal sexual acts)

وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ
Waallatheena hum lifuroojihim hafithoona

YUSUFALI: Who abstain from sex,
PICKTHAL: And who guard their modesty –

SHAKIR: And who guard their private parts,
KHALIFA: And they maintain their chastity.

০৩। যারা অসার বাক্য পরিহার করে;

০৪। যারা দান কাজে সক্রিয় ;

০৫। যারা [ অ-অনুমোদিত ] যৌন কাজ থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রাখে , ২৮৬৭

২৮৬৭। যৌন জীবন মানর জীবনচক্রের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কিন্তু এই জীবনকে উচ্ছৃঙ্খলভাবে ব্যয় করা চলবে না। সংযত যৌন জীবন যাপন আল্লাহ্‌র নির্দ্দেশ। মুসলমান সকল প্রকার যৌন অসংযতা থেকে দূরে থাকবে এবং ব্যভিচার ও উচ্ছৃঙ্খলতা থেকে নিজেকে পবিত্র রাখবে। দেখা গেছে সমাজে বিভিন্ন পাপের উৎপত্তি , জন্মলাভ করে থাকে ব্যভিচার থেকে। এ ব্যাপারে ফ্রয়েডের মনঃস্থাত্বিক বিশ্লেষণ এ কথা স্বীকার করে যে, মানুষের সুপ্ত বহু ইচ্ছা যৌন ইচ্ছার সাথে সম্পৃক্ত।

আমরা দৈনন্দিক জীবনে এর প্রতিফলন দেখে থাকি। খ্যাতি , প্রভাব-প্রতিপত্তি বা শ্রদ্ধার সর্বোচ্চ শিখর থেকে পতন ঘটে যৌন অধঃপতন থেকে। ইসলামের নির্দ্দেশ হচ্ছে বিবাহ বহির্ভূত যৌন জীবনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা। যৌন জীবনে বিবাহের মাধ্যমেই একমাত্র প্রবেশিধাকার লাভ করা যাবে এবং সেখানে নারী ও পুরুষের নিজস্ব অধিকারের ভিত্তিতে তা নিয়ন্ত্রিত হবে।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ০৬)

তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।
Except from their wives or (the captives and slaves) that their right hands possess, for then, they are free from blame;

إِلَّا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ
Illa AAala azwajihim aw ma malakat aymanuhum fa-innahum ghayru maloomeena

YUSUFALI: Except with those joined to them in the marriage bond, or (the captives) whom their right hands possess,- for (in their case) they are free from blame,
PICKTHAL: Save from their wives or the (slaves) that their right hands possess, for then they are not blameworthy,

SHAKIR: Except before their mates or those whom their right hands possess, for they surely are not blameable,
KHALIFA: Only with their spouses, or those who are rightfully theirs, do they have sexual relations; they are not to be blamed.

০৬। যাদের সাথে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ অথবা অধিকারভূক্ত দাসীগণ [ বন্দী ] ব্যতীত ২৮৬৮, এক্ষেত্রে তারা নিন্দনীয় হবে না।

২৮৬৮। এ সম্বন্ধে বিশদভাবে বলা হয়েছে [ ৪ : ২৫ ] আয়াতে।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ০৭)

অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।
But whoever seeks beyond that, then those are the transgressors;

فَمَنِ ابْتَغَى وَرَاء ذَلِكَ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْعَادُونَ
Famani ibtagha waraa thalika faola-ika humu alAAadoona

YUSUFALI: But those whose desires exceed those limits are transgressors;-
PICKTHAL: But whoso craveth beyond that, such are transgressors –

SHAKIR: But whoever seeks to go beyond that, these are they that exceed the limits;
KHALIFA: Those who transgress these limits are the transgressors.

০৭। কিন্তু যারা এই সীমাকে অতিক্রম করতে ইচ্ছা করে, তারা সীমালংঘনকারী ; –

০৮। যারা বিশ্বস্তভাবে তাদের আমানত ও অঙ্গীকার রক্ষা করে ২৮৬৯;

২৮৬৯। আমানত ও প্রতিশ্রুতি দুধরণের হতে পারে : লিখিত বা প্রকাশ্য এবং অলিখিত বা অপ্রকাশ্য। লিখিত আমানাত হচ্ছে : সম্পত্তি বা দায়িত্ব যা লিখিত ভাবে অন্যকে অর্পন করা হয় – যেমন চাকুরীরত কর্মকর্তারা সরকারের অধীনে জনসাধারণের কাজের জন্য নির্দ্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। জনগণের এই দায়িত্ব তাদের আমানত ইত্যাদি। অলিখিত বা অপ্রকাশ্য আমানতের উৎস বা উৎপত্তিস্থল হচ্ছে , ক্ষমতা, অথবা সুযোগ সুবিধা, মর্যদা বা সামাজিক বন্ধন ইত্যাদি যেমন :রাজার নিকট তার রাজ্য আল্লাহ্‌র নিকট থেকে প্রাপ্ত তার প্রজা সাধারণের অপ্রকাশ্য আমানত।

আমানত ও প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকার দুটি শব্দ পরস্পর পরস্পরের সম্পূরক। চুক্তি বা প্রতিশ্রুতি জন্ম দেয় বা সৃষ্টি করে বাধ্যবাধকতার বা আমানতের, চুক্তি ও আমানত আমাদের সমাজ জীবনে লিখিত বা অলিখিত হতে পারে তাতে কিছু যায় আসে না। আমানতের প্রতিশ্রুতি বা চুক্তি মানব জীবনকে সামাজিক, জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনে বাধ্যবাধকতার বন্ধনে আবদ্ধ করে। এ সম্বন্ধে বিশদ ব্যাখ্যার জন্য দেখুন টিকা ৬৮২ এবং আয়াত [ ৫:১ ]।

সূরা মুমিনূন

সূরা মুমিনূন (আয়াত ০৮)

এবং যারা আমানত ও অঙ্গীকার সম্পর্কে হুশিয়ার থাকে।
Those who are faithfully true to their Amanât (all the duties which Allâh has ordained, honesty, moral responsibility and trusts etc.) and to their covenants;

وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ
Waallatheena hum li-amanatihim waAAahdihim raAAoona

YUSUFALI: Those who faithfully observe their trusts and their covenants;
PICKTHAL: And who are shepherds of their pledge and their covenant,

SHAKIR: And those who are keepers of their trusts and their covenant,
KHALIFA: When it comes to deposits entrusted to them, as well as any agreements they make, they are trustworthy.

০৭। কিন্তু যারা এই সীমাকে অতিক্রম করতে ইচ্ছা করে, তারা সীমালংঘনকারী ; –

০৮। যারা বিশ্বস্তভাবে তাদের আমানত ও অঙ্গীকার রক্ষা করে ২৮৬৯;

২৮৬৯। আমানত ও প্রতিশ্রুতি দুধরণের হতে পারে : লিখিত বা প্রকাশ্য এবং অলিখিত বা অপ্রকাশ্য। লিখিত আমানাত হচ্ছে : সম্পত্তি বা দায়িত্ব যা লিখিত ভাবে অন্যকে অর্পন করা হয় – যেমন চাকুরীরত কর্মকর্তারা সরকারের অধীনে জনসাধারণের কাজের জন্য নির্দ্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। জনগণের এই দায়িত্ব তাদের আমানত ইত্যাদি। অলিখিত বা অপ্রকাশ্য আমানতের উৎস বা উৎপত্তিস্থল হচ্ছে , ক্ষমতা, অথবা সুযোগ সুবিধা, মর্যদা বা সামাজিক বন্ধন ইত্যাদি যেমন :রাজার নিকট তার রাজ্য আল্লাহ্‌র নিকট থেকে প্রাপ্ত তার প্রজা সাধারণের অপ্রকাশ্য আমানত।

আমানত ও প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকার দুটি শব্দ পরস্পর পরস্পরের সম্পূরক। চুক্তি বা প্রতিশ্রুতি জন্ম দেয় বা সৃষ্টি করে বাধ্যবাধকতার বা আমানতের, চুক্তি ও আমানত আমাদের সমাজ জীবনে লিখিত বা অলিখিত হতে পারে তাতে কিছু যায় আসে না। আমানতের প্রতিশ্রুতি বা চুক্তি মানব জীবনকে সামাজিক, জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনে বাধ্যবাধকতার বন্ধনে আবদ্ধ করে। এ সম্বন্ধে বিশদ ব্যাখ্যার জন্য দেখুন টিকা ৬৮২ এবং আয়াত [ ৫:১ ]।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ০৯)

এবং যারা তাদের নামাযসমূহের খবর রাখে।
And those who strictly guard their (five compulsory congregational) Salawât (prayers) (at their fixed stated hours).

وَالَّذِينَ هُمْ عَلَى صَلَوَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ
Waallatheena hum AAala salawatihim yuhafithoona

YUSUFALI: And who (strictly) guard their prayers;-
PICKTHAL: And who pay heed to their prayers.

SHAKIR: And those who keep a guard on their prayers;
KHALIFA: And they observe their Contact Prayers (Salat) regularly.

০৯।এবং যারা [ কঠিনভাবে ] তাদের সালাতকে রক্ষা করে; ২৮৭০

২৮৭০। আয়াত [ ২৩ : ২ ] এ নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে বিনয় ও একাগ্রতার সাথে প্রার্থনা করার জন্য। এই আয়াতে বিশেষভাবে বলা হয়েছে প্রার্থনা বা সালাতকে নিয়মিত ভাবে পালনের অভ্যাস গঠনের জন্য। কারণ নিয়মিত অভ্যাস আত্মিক শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। এবং সালাত ব্যক্তির আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য লাভের সহায়ক। এ ভাবেই সাতটি অমূল্য নির্দ্দেশনার মাধ্যমে ঈমানের রূপরেখাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই সাতটি অমূল্য রত্ন হচ্ছে : ১) বিনয় ২) অহংকার ও আত্মগরিমা ত্যাগ করা ৩) দান ৪) যৌন পবিত্রতা ৫) আমানতের বিশ্বস্ততা ও ৬) প্রতিশ্রুতির বিশ্বস্ততা এবং ৭) একান্তভাবে আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য লাভের আকাঙ্খা।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ১০)

তারাই উত্তরাধিকার লাভ করবে।
These are indeed the inheritors.

أُوْلَئِكَ هُمُ الْوَارِثُونَ
Allatheena yarithoona alfirdawsa hum feeha khalidoona

YUSUFALI: Who will inherit Paradise: they will dwell therein (for ever).
PICKTHAL: Who will inherit paradise. There they will abide.

SHAKIR: Who shall inherit the Paradise; they shall abide therein.
KHALIFA: They will inherit Paradise, wherein they abide forever.

১০। তারাই হবে উত্তরাধীকারী , ২৮৭১

১১। তারাই উত্তরাধীকার সুত্রে জান্নাত লাভ করবে। সেখানে তারা [ চিরদিন ] বাস করবে।

২৮৭১। দেখুন আয়াত [ ২১ : ১০৫ ] যেখানে বলা হয়েছে ” আমার সৎ কর্মপরায়ন বান্দাগণ পৃথিবীর অধিকারী হবে।” এই সূরার প্রথম আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের কথা যারা সাফল্য অর্জন করবে। এরা হলেন মুমিন বান্দা – ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সকল সাফল্য তাদের জন্যই। কারণ পৃথিবীতে সত্যের জয় শেষ পর্যন্ত হবেই। অসত্য ও অন্যায়ের স্থায়ীত্ব ক্ষণস্থায়ী। তবে এই বিজয় দর্শন ব্যক্তিগত ভাবে কোনও ব্যক্তির জীবনে নাও ঘটতে পারে।

অনেক সময়েই অন্যায় ও অসত্যের ধুম্রজাল কিছুকালের জন্যে সত্যের আলোকে ডেকে ফেলতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মিথ্যা ও অন্যায়ের কালো মেঘ অপসারিত হবেই হয়তো ব্যক্তিগত ভাবে কেউ এর প্রভাব প্রত্যক্ষ নাও করতে পারেন কিন্তু এ কথা সত্য যে পরবর্তী বংশধরেরা পূর্ববর্তীদের সত্যের জন্য ত্যাগ তিতিক্ষার সুফল অবশ্যই ভোগ করবে। শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হবেই।

এই পৃথিবীতে সকলেই তাদের সত্যের জন্য ত্যাগ স্বীকারে ফলাফল স্বচক্ষে দেখে যেতে নাও পারেন এ কথা সত্য , কিন্তু পরলোকে তারা তাদের কর্মফল স্বচক্ষে দেখতে সক্ষম হবেন। আল্লাহ্‌ বেহেশতের সৃষ্টি করেছেন পূণ্যাত্মা বা মোমেন বান্দাদের জন্য। মৃত্যুর পরে সকল মোমেন বান্দারা তাদের সুকর্মের ফল ভোগ করবেন।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ১১)

তারা শীতল ছায়াময় উদ্যানের উত্তরাধিকার লাভ করবে। তারা তাতে চিরকাল থাকবে।
Who shall inherit the Firdaus (Paradise). They shall dwell therein forever.

الَّذِينَ يَرِثُونَ الْفِرْدَوْسَ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
Allatheena yarithoona alfirdawsa hum feeha khalidoona

YUSUFALI: Who will inherit Paradise: they will dwell therein (for ever).
PICKTHAL: Who will inherit paradise. There they will abide.

SHAKIR: Who shall inherit the Paradise; they shall abide therein.
KHALIFA: They will inherit Paradise, wherein they abide forever.

১০। তারাই হবে উত্তরাধীকারী , ২৮৭১

১১। তারাই উত্তরাধীকার সুত্রে জান্নাত লাভ করবে। সেখানে তারা [ চিরদিন ] বাস করবে।

২৮৭১। দেখুন আয়াত [ ২১ : ১০৫ ] যেখানে বলা হয়েছে ” আমার সৎ কর্মপরায়ন বান্দাগণ পৃথিবীর অধিকারী হবে।” এই সূরার প্রথম আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের কথা যারা সাফল্য অর্জন করবে। এরা হলেন মুমিন বান্দা – ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সকল সাফল্য তাদের জন্যই। কারণ পৃথিবীতে সত্যের জয় শেষ পর্যন্ত হবেই। অসত্য ও অন্যায়ের স্থায়ীত্ব ক্ষণস্থায়ী। তবে এই বিজয় দর্শন ব্যক্তিগত ভাবে কোনও ব্যক্তির জীবনে নাও ঘটতে পারে।

অনেক সময়েই অন্যায় ও অসত্যের ধুম্রজাল কিছুকালের জন্যে সত্যের আলোকে ডেকে ফেলতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মিথ্যা ও অন্যায়ের কালো মেঘ অপসারিত হবেই হয়তো ব্যক্তিগত ভাবে কেউ এর প্রভাব প্রত্যক্ষ নাও করতে পারেন কিন্তু এ কথা সত্য যে পরবর্তী বংশধরেরা পূর্ববর্তীদের সত্যের জন্য ত্যাগ তিতিক্ষার সুফল অবশ্যই ভোগ করবে। শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হবেই। এই পৃথিবীতে সকলেই তাদের সত্যের জন্য ত্যাগ স্বীকারে ফলাফল স্বচক্ষে দেখে যেতে নাও পারেন এ কথা সত্য ,

কিন্তু পরলোকে তারা তাদের কর্মফল স্বচক্ষে দেখতে সক্ষম হবেন। আল্লাহ্‌ বেহেশতের সৃষ্টি করেছেন পূণ্যাত্মা বা মোমেন বান্দাদের জন্য। মৃত্যুর পরে সকল মোমেন বান্দারা তাদের সুকর্মের ফল ভোগ করবেন।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ১২)

আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি।
And indeed We created man (Adam) out of an extract of clay (water and earth).

وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ مِن سُلَالَةٍ مِّن طِينٍ
Walaqad khalaqna al-insana min sulalatin min teenin

YUSUFALI: Man We did create from a quintessence (of clay);
PICKTHAL: Verily We created man from a product of wet earth;

SHAKIR: And certainly We created man of an extract of clay,
KHALIFA: We created the human being from a certain kind of mud.

১২। আমি মানুষকে [ কাদার ] সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি ২৮৭২;

২৮৭২। আলোচ্য আয়াত সমূহে মানব সৃষ্টির সাতটি স্তরের উল্লেখ করা হয়েছে। সর্ব প্রথম স্তর মৃত্তিকার উপাদান, দ্বিতীয় স্তর বীর্য, তৃতীয় স্তর জমাট রক্ত , চতুর্থ স্তর মাংসপিন্ড, পঞ্চম অস্থি-পিঞ্জর, ষষ্ঠ অস্থিকে মাংস দ্বারা আবৃতকরণ সপ্তম সৃষ্টির পূর্ণত্ব অর্থাৎ রূহ সঞ্চারকরণ। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে মহান স্রষ্টার নিপুন শিল্পকর্মকে তুলে ধরা হয়েছে এবং মানবকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে তার শেষ পরিণতি ও ভবিষ্যত , যার উল্লেখ আছে আয়াত [ ১০ – ১১ ] তে। আয়াত [ ২ : ১১৭ ] উল্লেখ আছে আল্লাহ্‌ শূন্য থেকে পৃথিবীর সৃষ্টি করেন তাঁর আদেশের মাধ্যমে।

এখানে এই আয়াতগুলিতে সৃষ্টির প্রাথমিক অবস্থার বর্ণনা করা হয় নাই। বর্ণনা করা হয়েছে সৃষ্টি প্রক্রিয়ার একটি ধাপ আর সে ধাপটি হচ্ছে মানুষ সৃষ্টির বিভিন্ন স্তর। সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় পৃথিবীর মূল কণিকা প্রাণহীন অজৈব পদার্থ জীবন লাভে সক্ষম হয়। মাটির অজৈব পদার্থ তরুলতার মাধ্যমে জৈব পদার্থে রূপ লাভ করে এবং খাদ্যের মাধ্যমে তা দেহভ্যন্তরে স্থান পায়। প্রাণীদেহ তা শুক্রে রূপান্তরিত করে। এই শুক্র স্ত্রীকোষের ডিম্ব দ্বারা নিষিক্ত হয়ে মায়ের জরায়ুতে নিরাপদে স্থান লাভ করে। নিষিক্ত ডিম্বটি এখানে সৃষ্টি প্রক্রিয়াতে বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে।

প্রথম স্তরে নিষিক্ত ডিম্বটি জমাট রক্ত পিন্ডে পরিণত হয় , যা জীববিজ্ঞানে “জাইগট” নামে পরিচিত পরবর্তী স্তরে “জাইগটের” বিভক্তিকরণ শুরু এবং ভ্রূণের সৃষ্টি হয় , পরবর্তীতে ভ্রূণ একটি নির্দ্দিষ্ট পরিণতির দিকে অগ্রসর হয়। ফলে ভ্রূণ থেকে হাড়, মাংস, এবং বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গের সৃষ্টি হয়। এ পর্যন্ত মানব শিশুর সৃষ্টি ও প্রাণীকূলের সৃষ্টির মধ্যে পার্থক্য নাই। কিন্তু পার্থক্য আছে শেষ স্তরে। শেষ স্তরকে আল্লাহ্‌ এ ভাবে বর্ণনা করেছেন , ” অবশেষে উহাকে গড়ে তুলি অন্য এক সৃষ্টিরূপে [ ২৩ : ১৪]।” যার ফলে মানব শিশু প্রাণী শিশু থেকে আলাদা হয়ে পড়ে।

আর এই ভিন্নতার কারণ, মানব শিশুর মাঝে আল্লাহ্‌র রূহকে প্রবেশ করানো হয়, দেখুন আয়াত [ ১৫ : ২৯ ]। রূহ বা আত্মার এই অনুপ্রবেশ হতে পারে ধারাবাহিক। দেহের বৃদ্ধির সাথে সাথে আত্মারও পরিবর্ধন ও পরিবর্তন ঘটে। শিশু জন্মলাভ করে, বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় ও যৌবনে পদর্পন করে , আবার বার্দ্ধক্যে ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। শারীরিক পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের আত্মিক পরিবর্তনও সাধিত হয়। মানব জীবনে মৃত্যুই শেষ কথা নয়। মৃত্যুর মাধ্যমে সে প্রবেশ করে অন্য ভূবনে, যে ভূবনে সে এই পৃথিবীর সকল স্মৃতি ও কর্মকান্ডের হিসাব বহন করে নিয়ে যায়।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ১৩)

অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দু রূপে এক সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি।
Thereafter We made him (the offspring of Adam) as a Nutfah (mixed drops of the male and female sexual discharge) (and lodged it) in a safe lodging (womb of the woman).

ثُمَّ جَعَلْنَاهُ نُطْفَةً فِي قَرَارٍ مَّكِينٍ
Thumma jaAAalnahu nutfatan fee qararin makeenin

YUSUFALI: Then We placed him as (a drop of) sperm in a place of rest, firmly fixed;
PICKTHAL: Then placed him as a drop (of seed) in a safe lodging;

SHAKIR: Then We made him a small seed in a firm resting-place,
KHALIFA: Subsequently, we reproduced him from a tiny drop, that is placed into a well protected repository.

১৩। অতঃপর উহাকে শুক্র বিন্দুরূপে স্থাপন করি নিরাপদ আঁধারে ২৮৭৩।

২৮৭৩। জরায়ুতে ভ্রূণ সৃষ্টি হওয়া পর্যন্ত সমস্ত প্রক্রিয়া সংঘটিত হয় নিঃশব্দে , লোকচক্ষুর অন্তরালে। ভ্রূণকে মাতৃজঠরের নিরাপদ আশ্রয়ে স্রষ্টা স্থাপন করেন যে রকম ভাবে নৃপতি দুর্গের অভ্যন্তরে নিরাপদ আশ্রয় লাভ করে। ভ্রূণকে মাতৃজঠরে জরায়ূর অভ্যন্তরে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে সংশ্লিষ্ট করে দেয়া হয়, যেনো সে মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময়ে নিরাপত্তা লাভ করে, বৃদ্ধি লাভ করে ভূমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ১৪)

এরপর আমি শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তরূপে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর জমাট রক্তকে মাংসপিন্ডে পরিণত করেছি, এরপর সেই মাংসপিন্ড থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি, অতঃপর অস্থিকে মাংস দ্বারা আবৃত করেছি, অবশেষে তাকে নতুন রূপে দাঁড় করিয়েছি। নিপুণতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কত কল্যাণময়।

Then We made the Nutfah into a clot (a piece of thick coagulated blood), then We made the clot into a little lump of flesh, then We made out of that little lump of flesh bones, then We clothed the bones with flesh, and then We brought it forth as another creation. So blessed be Allâh, the Best of creators.

ثُمَّ خَلَقْنَا النُّطْفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقْنَا الْعَلَقَةَ مُضْغَةً فَخَلَقْنَا الْمُضْغَةَ عِظَامًا فَكَسَوْنَا الْعِظَامَ لَحْمًا ثُمَّ أَنشَأْنَاهُ خَلْقًا آخَرَ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ

Thumma khalaqna alnnutfata AAalaqatan fakhalaqna alAAalaqata mudghatan fakhalaqna almudghata AAithaman fakasawna alAAithama lahman thumma ansha/nahu khalqan akhara fatabaraka Allahu ahsanu alkhaliqeena

YUSUFALI: Then We made the sperm into a clot of congealed blood; then of that clot We made a (foetus) lump; then we made out of that lump bones and clothed the bones with flesh; then we developed out of it another creature. So blessed be Allah, the best to create!

PICKTHAL: Then fashioned We the drop a clot, then fashioned We the clot a little lump, then fashioned We the little lump bones, then clothed the bones with flesh, and then produced it as another creation. So blessed be Allah, the Best of creators!

SHAKIR: Then We made the seed a clot, then We made the clot a lump of flesh, then We made (in) the lump of flesh bones, then We clothed the bones with flesh, then We caused it to grow into another creation, so blessed be Allah, the best of the creators.

KHALIFA: Then we developed the drop into a hanging (embryo), then developed the hanging (embryo) into a bite-size (fetus), then created the bite-size (fetus) into bones, then covered the bones with flesh. We thus produce a new creature. Most blessed is GOD, the best Creator.

১৪। পরে আমি শুক্র বিন্দুকে জমাট রক্তপিন্ডে পরিণত করি। অতঃপর ঐ পিন্ড থেকে [ভ্রূণের ] পিন্ড তৈরী করি। অতঃপর সেই পিন্ড থেকে অস্থি তৈরী করি এবং অস্থিকে মাংস দ্বারা ঢেকে দেই। অবশেষে তা থেকে আমি উহা অন্য সৃষ্টিরূপে গড়ে তুলি। সুতারাং আল্লাহ্‌ মহান , সর্বোত্তম স্রষ্টা ২৮৭৪।

২৮৭৪। ” অবশেষে তা থেকে আমি উহা অন্য সৃষ্টিরূপে গড়ে তুলি” – এই লাইনটির মাধ্যমে স্রষ্টার সৃষ্টিকর্মের অপূর্ব নিদর্শনকে তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণ প্রাণী থেকে মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্বকে এখানে বর্ণনা করা হয়েছে। অনুধাবন সম্পন্ন মানুষকেই স্তম্ভিত করবে স্রষ্টার সৃষ্টি নৈপুন্য। প্রাণহীন মৃত্তিকার ধূলি থেকে [ ২২ : ৫ ] প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে। মাটির মূল উপাদান অজৈব মৌলিক পদার্থ সমূহ প্রাণের মূল জৈব পদার্থ প্রোটপ্লাজমে রূপান্তরিত হয়। প্রোটপ্লাজমই হচ্ছে প্রতিটি জীব কোষের মূল উপাদান।

এখান থেকেই প্রাণের উৎপত্তি। আবার প্রাণী জগতে মানুষের সৃষ্টি এক অত্যাশ্চর্য সৃষ্টি। কারণ প্রাণীকূল ও মানব একই জৈবিক নিয়মের নিয়ন্ত্রনাধীন। উভয়ে জন্ম গ্রহণ করে, খাদ্য গ্রহণ করে, বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়, প্রজনন করে, আবার এক সময়ে মৃত্যু বরণ করে। উভয়ের শরীর বৃত্ত [Physiology ] একই নিয়মের অধীন। কিন্তু আল্লাহ্‌র বিশেষ দান [ রূহ ] দ্বারা মানবকে করেছেন সম্মানিত। মানুষকে আল্লাহ্‌ বিশেষ বিশেষ মানসিক দক্ষতা [ Faculties of mind ] দানে ধন্য করেছেন এবং তাকে পৃথিবীর খলিফারূপে প্রেরণ করেছেন। মানুষের মাঝেই আল্লাহ্‌র জ্ঞান, ক্ষমতা, সৃষ্টিকরার দক্ষতা ইত্যাদি গুণাবলী প্রকাশ পায় এবং এসবের ব্যবহারের সেই একমাত্র প্রাণী যে তাঁর চারিপাশের জগতে স্রষ্টার জ্ঞান ও করুণাকে অনুধাবন করতে সক্ষম হয়।

সূরা মুমিনূন

সূরা মুমিনূন (আয়াত ১৫)

এরপর তোমরা মৃত্যুবরণ করবে
After that, surely, you will die.

ثُمَّ إِنَّكُمْ بَعْدَ ذَلِكَ لَمَيِّتُونَ
Thumma innakum baAAda thalika lamayyitoona

YUSUFALI: After that, at length ye will die
PICKTHAL: Then lo! after that ye surely die.

SHAKIR: Then after that you will most surely die.
KHALIFA: Then, later on, you die.

১৫। এর পরে , অবশেষে তোমাদের মৃত্যু হবে ২৮৭৫।
২৮৭৫। এই আয়াতে যে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে তা দৈহিক মৃত্যু। আত্মা অমর ও চিরস্থায়ী। আত্মার সুদীর্ঘ যাত্রাপথে পার্থিব বা দৈহিক মৃত্যু হচ্ছে ক্ষণস্থায়ী বিরতী। যদি এখানেই আমাদের এ জীবনের শেষ হয়ে যেতো তবে এ জীবনের কোন মহত্তর বৃহত্তর উদ্দেশ্য থাকতো না।

কিন্তু আমরা আমাদের সাধারণ বুদ্ধি বৃত্তির সাহায্যেই বুঝতে পারি যে, মানুষকে আল্লাহ্‌ অন্যান্য প্রাণীকূল থেকে ভিন্নভাবে সৃষ্টি করেছেন। সে শুধু তরুলতা -গুল্ম বা অন্যান্য প্রাণীদের ন্যায় জন্ম -মৃত্যুর মাধ্যমে জীবনকে শেষ করার জন্য নয়। আল্লাহ্‌ বলেছেন মৃত্যুর মাধ্যমে আমরা অন্য ভূবনে প্রবেশাধিকার লাভ করবো। সেখানেই আমাদের ইহজগতের সকল কর্মের হিসাব দাখিল করতে হবে।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ১৬)

অতঃপর কেয়ামতের দিন তোমরা পুনরুত্থিত হবে।
Then (again), surely, you will be resurrected on the Day of Resurrection.

ثُمَّ إِنَّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ تُبْعَثُونَ
Thumma innakum yawma alqiyamati tubAAathoona

YUSUFALI: Again, on the Day of Judgment, will ye be raised up.
PICKTHAL: Then lo! on the Day of Resurrection ye are raised (again).

SHAKIR: Then surely on the day of resurrection you shall be raised.
KHALIFA: Then, on the Day of Resurrection, you will be resurrected.

১৬। পুণরায় শেষ বিচারের দিনে তোমাদের পুণরুত্থিত করা হবে।

১৭। এবং আমি তোমাদের উর্দ্ধে সাতটি স্তর সৃষ্টি করেছি ২৮৭৬। এবং আমি [ আমার ] সৃষ্টি সম্পর্কে কখনও অমনোযোগী নই ২৮৭৭।

২৮৭৬। “Taraiq” অর্থ রাস্তা, পথ , কক্ষপথ, অঞ্চল ইত্যাদি। এই আয়াতে এই আয়াতটির অর্থ সপ্ত আকাশের স্তর। পরবর্তী লাইনে মানব কূলকে এই নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহ্‌ তাঁর সৃষ্টি সম্বন্ধে সহৃদয়। তাঁর করুণা ও দয়া সর্বদা তাঁর সৃষ্টিকে ঘিরে থাকে।

২৮৭৭। আল্লাহ্‌র কল্যাণ কামনা তাঁর সৃষ্টিকে সর্বদা ঘিরে থাকে। আল্লাহ্‌র করুণা ও কল্যাণের কয়েকটি উদাহরণ দেয়া হয়েছে আয়াত [ ২৩ : ১৮-২২ ] পর্যন্ত এবং আত্মিক কল্যাণের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে ২ থেকে ৫ রুকু পর্যন্ত।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ১৭)

আমি তোমাদের উপর সুপ্তপথ সৃষ্টি করেছি এবং আমি সৃষ্টি সম্বন্ধে অনবধান নই।
And indeed We have created above you seven heavens (one over the other), and We are never unaware of the creation.

وَلَقَدْ خَلَقْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعَ طَرَائِقَ وَمَا كُنَّا عَنِ الْخَلْقِ غَافِلِينَ
Walaqad khalaqna fawqakum sabAAa tara-iqa wama kunna AAani alkhalqi ghafileena

YUSUFALI: And We have made, above you, seven tracts; and We are never unmindful of (our) Creation.
PICKTHAL: And We have created above you seven paths, and We are never unmindful of creation.

SHAKIR: And certainly We made above you seven heavens; and never are We heedless of creation.
KHALIFA: We created above you seven universes in layers, and we are never unaware of a single creature in them.

১৬। পুণরায় শেষ বিচারের দিনে তোমাদের পুণরুত্থিত করা হবে।

১৭। এবং আমি তোমাদের উর্দ্ধে সাতটি স্তর সৃষ্টি করেছি ২৮৭৬। এবং আমি [ আমার ] সৃষ্টি সম্পর্কে কখনও অমনোযোগী নই ২৮৭৭।

২৮৭৬। “Taraiq” অর্থ রাস্তা, পথ , কক্ষপথ, অঞ্চল ইত্যাদি। এই আয়াতে এই আয়াতটির অর্থ সপ্ত আকাশের স্তর। পরবর্তী লাইনে মানব কূলকে এই নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহ্‌ তাঁর সৃষ্টি সম্বন্ধে সহৃদয়। তাঁর করুণা ও দয়া সর্বদা তাঁর সৃষ্টিকে ঘিরে থাকে।

২৮৭৭। আল্লাহ্‌র কল্যাণ কামনা তাঁর সৃষ্টিকে সর্বদা ঘিরে থাকে। আল্লাহ্‌র করুণা ও কল্যাণের কয়েকটি উদাহরণ দেয়া হয়েছে আয়াত [ ২৩ : ১৮-২২ ] পর্যন্ত এবং আত্মিক কল্যাণের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে ২ থেকে ৫ রুকু পর্যন্ত।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ১৮)

সূরা মুমিনূন (আয়াত ১৯)

অতঃপর আমি তা দ্বারা তোমাদের জন্যে খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান সৃষ্টি করেছি। তোমাদের জন্যে এতে প্রচুর ফল আছে এবং তোমরা তা থেকে আহার করে থাক।
Then We brought forth for you therewith gardens of date-palms and grapes, wherein is much fruit for you, and whereof you eat.

فَأَنشَأْنَا لَكُم بِهِ جَنَّاتٍ مِّن نَّخِيلٍ وَأَعْنَابٍ لَّكُمْ فِيهَا فَوَاكِهُ كَثِيرَةٌ وَمِنْهَا تَأْكُلُونَ
Faansha/na lakum bihi jannatin min nakheelin waaAAnabin lakum feeha fawakihu katheeratun waminha ta/kuloona

YUSUFALI: With it We grow for you gardens of date-palms and vines: in them have ye abundant fruits: and of them ye eat (and have enjoyment),-
PICKTHAL: Then We produce for you therewith gardens of date-palms and grapes, wherein is much fruit for you and whereof ye eat;

SHAKIR: Then We cause to grow thereby gardens of palm trees and grapes for you; you have in them many fruits and from them do you eat;
KHALIFA: With it, we produce for you orchards of date palms, grapes, all kinds of fruits, and various foods.

১৯। এর সাহায্যে তোমাদের জন্য আমি খেজুর ও আঙ্গুর বাগান উৎপন্ন করি। ইহাতে তোমাদের জন্য আছে প্রচুর ফল , এবং তোমরা তা খাও এবং [ উপভোগ কর ] ; ২৮৭৯ –

২৮৭৯। দেখুন আয়াত [ ৭ : ১৯ ] এবং টিকা ৭৭৬ ও আয়াত ৫ : ৫৬।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ২০)

এবং ঐ বৃক্ষ সৃষ্টি করেছি, যা সিনাই পর্বতে জন্মায় এবং আহারকারীদের জন্যে তৈল ও ব্যঞ্জন উৎপন্ন করে।
And a tree (olive) that springs forth from Mount Sinai, that grows oil, and (it is a) relish for the eaters.

وَشَجَرَةً تَخْرُجُ مِن طُورِ سَيْنَاء تَنبُتُ بِالدُّهْنِ وَصِبْغٍ لِّلْآكِلِينَ
Washajaratan takhruju min toori saynaa tanbutu bialdduhni wasibghin lilakileena

YUSUFALI: Also a tree springing out of Mount Sinai, which produces oil, and relish for those who use it for food.
PICKTHAL: And a tree that springeth forth from Mount Sinai that groweth oil and relish for the eaters.

SHAKIR: And a tree that grows out of Mount Sinai which produces oil and a condiment for those who eat.
KHALIFA: Also, a tree native to Sinai produces oil, as well as relish for the eaters.

২০। এবং সিনাই পর্বতে উদ্‌গত করি এক বৃক্ষ, যা তেল উৎপন্ন করে এবং খাদ্য হিসেবে [ যে তেল ] সুস্বাদু ২৮৮০।

২৮৮০। এই বৃক্ষটিকে ‘যায়তুন’ বৃক্ষ বলা হয়েছে। যায়তুন হচ্ছে জলপাই এর আরবী নাম। আরবের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উন্নতমানের জলপাই উৎপন্ন হয় মাউন্ট সিনাইতে। ডুমুর , জলপাই, সিনাই পর্বত এবং পবিত্র মক্কা নগরীর কথা একই সাথে উল্লেখ করা হয়েছে আয়াতে [ ৯৫ : ১ -৫ ] বিভিন্ন প্রকার তেলের মাঝে জলপাই এর তেল এক উচ্চ গুণাগুণ সম্পন্ন ভেজষ তেল যা যুগে যুগে ঔষধ তৈরীতে ব্যবহৃত হয়েছে। খাদ্য হিসেবেও জলপাই স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। দেখুন [ ২৪ : ৩৫ ] আয়াত যেখানে জলপাই গাছকে ” পূত পবিত্র যয়তুন বৃক্ষ ” বলা হয়েছে। দেখুন টিকা ৩০০০।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ২১)

এবং তোমাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তু সমূহের মধ্যে চিন্তা করার বিষয় রয়েছে। আমি তোমাদেরকে তাদের উদরস্থিত বস্তু থেকে পান করাই এবং তোমাদের জন্যে তাদের মধ্যে প্রচুর উপকারিতা আছে। তোমরা তাদের কতককে ভক্ষণ কর।

And Verily! In the cattle there is indeed a lesson for you. We give you to drink (milk) of that which is in their bellies. And there are, in them, numerous (other) benefits for you, and of them you eat.

وَإِنَّ لَكُمْ فِي الْأَنْعَامِ لَعِبْرَةً نُّسقِيكُم مِّمَّا فِي بُطُونِهَا وَلَكُمْ فِيهَا مَنَافِعُ كَثِيرَةٌ وَمِنْهَا تَأْكُلُونَ

Wa-inna lakum fee al-anAAami laAAibratan nusqeekum mimma fee butooniha walakum feeha manafiAAu katheeratun waminha ta/kuloona

YUSUFALI: And in cattle (too) ye have an instructive example: from within their bodies We produce (milk) for you to drink; there are, in them, (besides), numerous (other) benefits for you; and of their (meat) ye eat;

PICKTHAL: And lo! in the cattle there is verily a lesson for you. We give you to drink of that which is in their bellies, and many uses have ye in them, and of them do ye eat;

SHAKIR: And most surely there is a lesson for you in the cattle: We make you to drink of what is in their bellies, and you have in them many advantages and of them you eat,

KHALIFA: And the livestock should provide you with a lesson. We let you drink (milk) from their bellies, you derive other benefits from them, and some of them you use for food.

২১। এবং গৃহপালিত পশুদের মধ্যেও তোমাদের জন্য আছে উপদেশপূর্ণ উদাহরণ ২৮৮১। তাদের দেহের অভ্যন্তরে থেকে তোমাদের পান করার জন্য [ দুধ ] উৎপন্ন করি। [ এছাড়াও ] ইহাদের মাঝে তোমাদের জন্য [আরও ] অসংখ্য উপকারিতা আছে; এবং ইহাদের [ মাংস ] তোমরা আহার কর।

২৮৮১। ” আন্‌ – আম ” অর্থ গৃহপালিত পশু। গৃহপালিত পশু থেকে আমরা দুধ পাই, মাংস পাই। তাদের চামড়া দ্বারা আমরা জুতা, ব্যাগ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিষ তৈরী করি। তাদের শিং ও হাড় দ্বারা চিরুনী , তৈজষ পত্র ও গহনা তৈরী করা হয়। উট, ঘোড়া, গাধা, খচ্চর এবং গরুর গাড়ী প্রভৃতি যানবাহন ও মাল টানার জন্য প্রাচীন পৃথিবীতে ব্যবহৃত হতো। সত্যিই এ সবের মধ্যে রয়েছে ” তোমাদিগের জন্য প্রচুর উপকারিতা। “

সূরা মুমিনূন
সূরা মুমিনূন

সূরা মুমিনূন (আয়াত ২২)

তাদের পিঠে ও জলযানে তোমরা আরোহণ করে চলাফেরা করে থাক।
And on them, and on ships you are carried.

وَعَلَيْهَا وَعَلَى الْفُلْكِ تُحْمَلُونَ
WaAAalayha waAAala alfulki tuhmaloona

YUSUFALI: An on them, as well as in slips, ye side.
PICKTHAL: And on them and on the ship ye are carried.

SHAKIR: And on them and on the ships you are borne.
KHALIFA: On them, and on the ships, you ride.

২২। এবং তোমরা উহাতে ও নৌযানে আরোহণও করে থাক।

২৩। [ উপরন্তু,] তোমাদের উপদেশের জন্য বহু নবীকূল প্রেরণ করেছি ] ২৮৮২। নূহ্‌কে প্রেরণ করেছিলাম তার সম্প্রদায়ের কাছে ২৮৮৩। সে বলেছিলো, ” হে আমার সম্প্রদায় ! আল্লাহ্‌র এবাদত কর! তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। তবুও কি তোমরা [ তাঁকে ] ভয় করবে না? ” ২৮৮৪

২৮৮২। এতক্ষণ জাগতিক বিষয়বস্তু যা আমাদের পার্থিব আরাম আয়েশের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তার বর্ণনা করা হয়েছে উপরের আয়াত সমূহের দ্বারা। এ সব বস্তুকে দান করা হয়েছে পরিমিত ভাবে আল্লাহ্‌র বিচক্ষণ ও সুবিবেচনাপূর্ণ তত্বাবধানে। এবারে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য মহান আল্লাহ্‌ যে সব বন্দোবস্ত করেছেন। তিনি যুগে যুগে মানুষকে সৎপথে পরিচালিত করার জন্য, মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য শিক্ষক প্রেরণ করেছেন। তারা যুগে যুগে বিপথগামীদের দ্বারা ব্যঙ্গ -বিদ্রূপের পাত্রে পরিণত হয়েছেন, প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, মিথ্যাবাদীরূপে অভিযুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মহান আল্লাহ্‌ তাদের রক্ষা করেছেন এবং পৃথিবীতে শেষ পর্যন্ত “সত্য” ই স্থায়ী হয়।

২৮৮৩। ” সম্প্রদায়” শব্দটি এখানে নূহ্‌ এর সমসাময়িক পৃথিবীবাসীদের বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।

২৮৮৪। দেখুন আয়াত [ ৭ : ৫৯ ]। আল্লাহকে ভয় করার প্রকৃত অর্থ হচ্ছে আল্লাহ্‌র ভয়ে পবিত্র জীবন যাপন করা ও পাপকে পরিহার করা।

আরও দেখুনঃ 

সূরা নম্‌ল – উইকিপিডিয়া

 

Leave a Comment