নারীকে তার সৌন্দর্যের জন্য বিয়ে করতে চাওয়া হারাম নয় | আল-মুরাইসি ও বনু আল-মুস্তালিকের অভিযান, জুওয়ারিয়ার (রা) সঙ্গে বিয়ের মধ্য দিয়ে আমরা নবিজির (সা) একাধিক বিয়ের কিছু সুফল ও প্রজ্ঞার পরিচয় পাই। এখানে কেউ প্রশ্ন করতে পারে: নবিজি (সা) কি জুওয়ারিয়ার সৌন্দর্যের কারণে আগ্রহী হননি?
নারীকে তার সৌন্দর্যের জন্য বিয়ে করতে চাওয়া হারাম নয় | আল-মুরাইসি ও বনু আল-মুস্তালিকের অভিযান | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

উত্তর হচ্ছে: সেটা হলে তাতে সমস্যা কোথায়? নবিজি (সা) তো একজন স্বাভাবিক মানুষ। কিছু মুসলিম বলে থাকে, নবিজির (সা) মধ্যে তেমন কামনা-বাসনা ছিল না। কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আয়েশা (রা) নবিজিকে (সা) আমাদের সবার চেয়ে ভাল চিনতেন। লক্ষ করুন, তিনি বলেছিলেন, “…কারণ আমি জানতাম যে আমি যা দেখেছি নবিজির (সা) তার মধ্যে তা দেখতে পাবেন। “

কোরান বলছে: “বলো, আমি তোমাদের মতোই একজন মানুষ…।” (সুরা কাহাফ, ১৮:১১০) নবিজি (সা) ক্ষুধার্ত হতেন, পরিশ্রম করলে ক্লান্ত হতেন, ওহুদের যুদ্ধে তাঁর রক্তক্ষরণও হয়েছে এবং অবশ্যই তাঁর জৈবিক ইচ্ছাও ছিল। আমাদের কাছে নবি হিসেবে তাঁর পূর্ণতা এজন্য যে তিনি একজন স্বাভাবিক মানুষ যিনি তাঁর বাসনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন; তাকে ফেরেশতা ভাবার কোনো কারণ নেই। আমাদের কাছে নবির এই মানবরূপটিই ‘রোল মডেল’।
কারও প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাকে বিয়ে করতে চাইলে তাতে হারাম কিছু নেই। তিনি তো কেবল প্রস্তাব দিয়েছেন। আবার তিনি তাঁকে স্বেচ্ছায় ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তাবও দিয়ে রেখেছিলেন। নবিজি (সা) জুওয়ারিযোকে বিয়ে করেছিলেন বলেই জুওয়ারিয়া তাঁর পুরো গোত্রকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা নবিজিকে (সা) এমন কিছুর অনুমতি দিয়েছেন যা অন্যদের দেননি। তাছাড়া নবিজি (সা) নিশ্চয়ই ভেবেছিলেন, সর্দারের কন্যাকে বিয়ে করলে মুসলিমদের জন্য দীর্ঘমেয়াদে লাভ হবে। তিনি নিশ্চয়ই হারিস ও আল-মুস্তালিক গোত্রের লোকদের মধ্যে ভালো কিছু দেখতে পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ