হামজার অঙ্গচ্ছেদ | ওহুদের যুদ্ধ-৩ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

হামজার অঙ্গচ্ছেদ | ওহুদের যুদ্ধ-৩, ওহুদের যুদ্ধকে যদি আমরা দুই পর্বে ভাগ করি, তাহলে হামজার (রা) মৃত্যু পড়ে প্রথম পর্বে জানতে পারি, যখন মুসলিমরা জয়ী হওয়ার মতো অবস্থানে ছিলেন, অর্থাৎ খালিদ বিন ওয়ালিদের পাল্টা আক্রমণের আগেই হামজা (রা) নিহত হন।

হামজার অঙ্গচ্ছেদ | ওহুদের যুদ্ধ-৩ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

হামজার অঙ্গচ্ছেদ | ওহুদের যুদ্ধ-২ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

কুরাইশ নারীরা তখনও যুদ্ধের ময়দানেই ছিল। সে সময় আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দ এক নৃশংস কাজ করে। সে ছুরি চালিয়ে হামজার পেট চিরে কলিজা বের করে আনে, তাতে কামড় দেয় এবং পরে থুধু আকারে ফেলে দেয়। কোনো কোনো বর্ণনা অনুসারে, সে হামজার হাত-পায়ের আঙুলগুলো কেটে নিয়ে তা দিয়ে একটি গলার হার তৈরি করে। হিন্দ এই সবকিছুই করেছিল নবিজির (সা) মনে কষ্ট দেওয়ার জন্য ।

যুদ্ধ শেষে নবি করিম (সা) হামজার মৃতদেহের অবস্থা দেখে চিৎকার করে বলেন, “যদি এমন না হতো যে সাফিয়া (হামজার আপন বোন) কষ্ট পাবে আর লোকেরা এটিকে সুন্নত হিসাবে গ্রহণ করবে, তাহলে আমি তাঁর মৃতদেহটি এখানে এভাবেই ফেলে রাখতাম যতক্ষণ না তা পশুপাখিদের পেটে যায়।” (অর্থাৎ ‘আমি চাইতাম তাঁর অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো আরও বিকৃত করা হোক যাতে আল্লাহ তাঁকে আরও বেশি সম্মানিত করেন।’) নাড়িভুঁড়ি বের হওয়া এবং নাক, আঙুল ইত্যাদি বিকৃত অঙ্গসহ হামজার মৃতদেহ দেখে নবিজি (সা) কান্নায় ভেঙে পড়েন।

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

কিছু বর্ণনা অনুসারে, হামজার গোপনাঙ্গও কেটে ফেলা হয়েছিল। কল্পনা করতে পারেন, কতটা নৃশংস ছিল সেই দৃশ্য! নবিজি (সা) আরও বলেন, “আল্লাহ যদি আমাকে কখনও কুরাইশের বিপক্ষে জয়ী করেন, তাহলে আমি এই একটির বদলে তাদের ৩০টি লাশের অঙ্গচ্ছেদ (দেহ বিকৃত) করব।” এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা পরবর্তী সময়ে নাজিল করেন: “যদি তোমরা শাস্তি দাও, তবে যতখানি অন্যায় তোমাদের প্রতি করা হয়।

 

হামজার অঙ্গচ্ছেদ | ওহুদের যুদ্ধ-২ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

ঠিক ততখানি শাস্তি দেবে। আর যদি তোমরা ধৈর্য ধর, তবে তা-ই ধৈর্যশীলদের জন্য উত্তম।” [সুরা নাহল, ১৬:১২৬] নবিজি (সা) এই আয়াতের আলোকে বলেছেন, যা সহিহ মুসলিমে বর্ণিত আছে, “কোনো মৃতদেহকে বিকৃত করার অনুমতি নেই।”

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment