হারাম বা নিষিদ্ধ | মদিনায় হিজরত থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

হারাম বা নিষিদ্ধ | মদিনায় হিজরত থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা, ফিকহ দৃষ্টিকোণ থেকে মদিনাকে আমরা হারাম নামে ডাকি। উৎপত্তিগতভাবে হারাম শব্দটির অর্থ নিষিদ্ধ। হারাম এমন একটি এলাকা যার বাইরের অনেক হালাল বিষয়ও এর অভ্যন্তরে হারাম। উদাহরণস্বরূপ, হারামের ভেতরে অস্ত্র বহন করা হারাম। তবে উম্মাহর প্রয়োজনে এর ব্যতিক্রম হতে পারে; যেমন আমাদের সময়ে রক্ষীরা ইমামদের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র বহন করে। সেনাবাহিনী সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না। মক্কা বিজয়ের ব্যাপারে নবিজি (সা) বলেছেন, আল্লাহ তাঁকে স্বল্প সময়ের জন্য বাহিনী নিয়ে ভেতরে প্রবেশের বিশেষ অনুমতি দিয়েছিলেন। অন্যথায় এটা অনুমোদিত নয়।

 

হারাম বা নিষিদ্ধ | মদিনায় হিজরত থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

হারাম বা নিষিদ্ধ | মদিনায় হিজরত থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

হারাম এমন পবিত্র জায়গা যেখানে আপনি কোনো ঘাস, পাতা কিংবা ফলও তুলতে পারবেন না। জীবিত সবকিছুই এখানে নিরাপদ। আল্লাহ তায়ালা কোরানে বলেছেন: “আর যে-কেউ সেখানে প্রবেশ করে সে নিরাপদ।” [সুরা আলে ইমরান, ৩:৯৭] ইবনে উমর (রা) বর্ণনা করেছেন, “জাহেলি যুগে কোনো ব্যক্তি তার পিতার হত্যাকারীকে কাবাঘরের চারপাশে তাওয়াফ করতে দেখলেও সে তার ক্ষতি করার জন্য কিছুই করত না।” কারণ ইব্রাহিমের (আ) সময় থেকে মক্কা যে হারাম ছিল। তা আরবরা জানত ইসলাম এসে এ সত্যটি নিশ্চিত করেছে। সুতরাং বলা যায়, হারামের ভেতরে প্রত্যেক ব্যক্তি ও বস্তুই সুরক্ষিত। এমনকি আপনি যদি কোনো হারিয়ে যাওয়া জিনিসও খুঁজে পান, তবুও আপনি সেটি নিতে পারবেন না।

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আল্লাহ বলেছেন:

“যারা কুফরি করে এবং অন্যদের আল্লাহর পথ অনুসরণে বাধা দেয়, এবং বাধা দেয় মসজিদুল হারামে যেতে যা আমি স্থাপন করেছি স্থানীয় ও বহিরাগত সকলের সম অধিকারের ভিত্তিতে, আর যারা এটা অপবিত্র করতে চায় ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যায় কর্মের দ্বারা, তাদের সকলকেই আমি যন্ত্রণাদায়ক শান্তির স্বাদ গ্রহণ করাব।” [সুরা হজ, 22:25] বিশ্বে হারাম রয়েছে মাত্র দুটি: মক্কা ও মদিনা।

 

হারাম বা নিষিদ্ধ | মদিনায় হিজরত থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

এই দুটিকে একত্রে ‘আল-হারামাইন আল শরিফাইন’ (দুটি পবিত্র মর্যাদাবান শহর) বলা হয়। এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে, আমরা তাহলে বায়তুল মাকদিসকে (আল-আকসা) কী বলব? কিছু মানুষ জেরুসালেমকে হারাম শরিফ’ নামে অভিহিত করে। কিন্তু তা বরকতপূর্ণ স্থান ও প্রথম কিবলা হলেও ফিকহের দৃষ্টিকোণ থেকে তা হারাম নয়। আপনি জেরুসালেমে প্রাণী শিকার করতে পারবেন, কিন্তু মক্কা বা মদিনায় পারবেন না। ইসলামের প্রতিষ্ঠিত পণ্ডিতদের কেউই জেরুসালেমকে হারাম বলেননি। প্রতিটি হারাম একটি বরকতময় স্থান, কিন্তু প্রতিটি বরকতময় স্থান হারাম নয়।

আরও পড়ূনঃ

Leave a Comment