আল মিরাজ: নবিদের সম্ভাষণ | রাতের ভ্রমণ এবং ঊর্ধ্বলোকে আরোহণ-১ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

আল মিরাজ: নবিদের সম্ভাষণ | রাতের ভ্রমণ এবং ঊর্ধ্বলোকে আরোহণ-১, নবি করিম (সা) আকাশে আরোহণের বিভিন্ন স্তরে যা যা ঘটেছিল:

আল মিরাজ: নবিদের সম্ভাষণ | রাতের ভ্রমণ এবং ঊর্ধ্বলোকে আরোহণ-১ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

আল মিরাজ: নবিদের সম্ভাষণ | রাতের ভ্রমণ এবং ঊর্ধ্বলোকে আরোহণ-১ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

প্রথম আকাশ:

সেখানে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে ছিলেন। নবিজি (সা) তাঁকে লম্বা ও বিশালকায় বলে বর্ণনা করেছেন। জিব্রাইল (আ) পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললেন, “ইনি আপনার পিতা আদম (আ)। তাঁকে সালাম দিন।” নবিজি (সা) সালাম জানালে আদম (আ) সাড়া দিয়ে বললেন, “হে আমার অভিজাত পুত্ৰা হে অভিজাত নবি! স্বাগতম!” একটি বর্ণনায় বলা হয়েছে, নবিজি (সা) সেখানে আলমকে (আ) ঘিরে অনেক মানুষকে দেখেছিলেন। তাঁর ডানদিকে ছিল একটি দল, বামদিকে অন্য একটি দল। আদম (আ) ডানদিকের মানুষদের দেখে খুশি হলেন, আর বামদিকের মানুষদের দেখে কাঁদতে লাগলেন। নবিজি (সা) এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে জিব্রাইল (আ) জবাব দিলেন, “এরা সবাই আদম সন্তান। ডান দিকের মানুষেরা জান্নাতের এবং বামদিকের মানুষেরা জাহান্নামের।”

দ্বিতীয় আকাশ:

সেখানে ছিলেন ইয়াহিয়া (আ) এবং ইসা (আ)। নবিজিকে (সা) বলা হলো, ইনি ইয়াহিয়া এবং ইনি ইসা। তাদের সালাম দিন।” নবিজি (সা) তাঁদের সালাম জানালে তাঁরা বললেন, “হে আমাদের অভিজাত ভাই! হে অভিজাত নবি! স্বাগতম!” তৃতীয় আকাশ। সেখানে ইউসুফ (আ) ছিলেন এবং একই কথোপকথন হলো। এখানকার প্রসঙ্গেই নবিজি (সা) সেই বিখ্যাত উক্তিটি করেছেন, “আমি ইউসুফকে (আ) দেখেছি। দেখে মনে হয়েছিল যেন পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্যের অর্ধেকই তাঁকে দেওয়া হয়েছে।

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

চতুর্থ আকাশ:

সেখানে ছিলেন ইদ্রিস (আ)। তিনি বললেন, “হে আমার অভিজাত ভাই। হে অভিজাত নবি। স্বাগতম!”

পঞ্চম আকাশ:

সেখানে ছিলেন হারুন (আ)। সেখানেও একই কথোপকথন হলো।

ষষ্ঠ আকাশ:

সেখানে মুসা (আ) ছিলেন এবং সেখানেও একই কথা হলো। নবিজি (সা) সেখানে গেলে মুসা (আ) কাঁদতে লাগলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, “আপনি কাঁদছেন কেন?” মুসা (আ) জবাবে বললেন, “আমি কাঁদছি কারণ আমার পরে প্রেরণ করা এই যুবক ব্যক্তিটির অনুসারীর সংখ্যা জান্নাতে আমার অনুসারীদের চেয়েও বড় হবে।”

[নোট ১: এখানে মুসা (আ) নবিজির (সা) প্রতি যে ঈর্ষা প্রকাশ করছেন তা ইতিবাচক ঈর্ষা। কারি, কোরানের হাফেজ, আলেম, উদার ধনী ব্যক্তিদের প্রতি আমরা এরকম ইতিবাচক ঈর্ষা করতে পারি]

(নোট ২: নবিজির (সা) বয়স তখন ছিল ৫১ বা ৫২ বছর। মুসা (আ) যখন মারা যান তখন তাঁর বয়স ছিল ১৩০ বছরেরও বেশি। সুতরাং নবিজি (সা) তাঁর চোখে একজন যুবক।]

 

আল মিরাজ: নবিদের সম্ভাষণ | রাতের ভ্রমণ এবং ঊর্ধ্বলোকে আরোহণ-১ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

সপ্তম আকাশ:

নবিজি (সা) বলেছেন, “আমি ইব্রাহিমকে (আ) দেখতে পেলাম। তিনি তাঁর পিঠ বায়তুল মামুরের দিকে হেলান দিয়ে বসেছিলেন।” জিব্রাইল (আ) পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললেন, “ইনি আপনার পিতা ইব্রাহিম (আ)। তাঁকে সালাম দিন।” নবিজি (সা) সালাম জানালে ইব্রাহিম (আ) জবাবে বললেন, “হে আমার অভিজাত পুত্র! হে অভিজাত নবি! স্বাগতম!”

[নোট: শুধু আদম (আ) ও ইব্রাহিমই (আ) নবিজিকে ‘পুত্র’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। বাকিরা তাঁকে ‘ভাই’ বলে ডেকেছিলেন।

আরও পড়ূনঃ

Leave a Comment