কোরানের বিদ্রুপকারী: আল-নদর ইবনুল হারিস | বদরের যুদ্ধ-৬, ইবনে ইসহাকের ভাষ্যমতে আল নদর ইবনুল হারিসকে বলা হতো ‘কুরাইশদের শয়তান’। ইসলাম-পূর্ব সময়ে সে ইরাকের লাখমিদ রাজ্যের রাজধানী আল-হিরা শহরে বসবাস করত। অর্থাৎ সে আরবের বাইরে থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিল। কোরান নাজিল শুরু হওয়ার পর সে-ই কোরান নিয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা শুরু করে। সে কোরানের কথাকে কটাক্ষ করে বলত, “এগুলো কী? কল্পকাহিনি না গল্প? আমি তোমাদের এর চেয়ে আরও ভালো কাহিনি শোনাতে পারব।”

কোরানের বিদ্রুপকারী: আল-নদর ইবনুল হারিস | বদরের যুদ্ধ-৬ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন
বলা হয়ে থাকে, আল-নদরের বিদ্রুপের প্রেক্ষিতেই কোরানে বেশ কয়েকটি আয়াত নাজিল হয়েছে; উদাহরণস্বরূপ, “যে বলে, “আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, আমিও তার মতো নাজিল করতে পারি’, তার চেয়ে বড় সীমালঙ্ঘনকারী আর কে?” [৬:৯৩] “আর যখন তাদের কাছে আমার আয়াত পাঠ করা হয় তখন তারা বলে, ‘আমরা তো শুনলাম, ইচ্ছা করলে আমরাও এ রকম বলতে পারি, এ তো শুধু সেকালের উপকথা।” [৮:৩১] “ওরা বলে, ‘এগুলো তো সেকালের উপকথা যা সে লিখিয়ে নিয়েছে।

এগুলো সকাল-সন্ধ্যা তার কাছে পাঠ করা হয়। [২৫:৫] এমন ঘটনাও ঘটেছে, লোকেরা যখন নবি করিমের (সা) কথা শোনার জন্য উপস্থিত হতো, তখন আল-নদর এসে তাদের বলত, “এই লোকটির কাছ থেকে সরে এসো। আমি তোমাদের আরও ভালো গল্প বলতে পারব।” সে লোকদেরকে প্রাচীন পার্সিয়ান রাজাদের কাহিনি বলত। তার কাছে অনেক গল্পই মজুত ছিল এছাড়া আল-নদর ও উকবা একবার ইয়াসরিব পর্যন্ত গিয়েছিল সেখানকার ইহুদিদের কাছ থেকে কিছু কৌশলী প্রশ্ন সংগ্রহ করার জন্য যেগুলো দিয়ে তারা নবিজিকে (সা) ঘায়েল করতে পারে। ১৪তম পর্বে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে।
আরও পড়ুনঃ