আল্লাহ কীভাবে বিজয় দিয়েছিলেন? | খন্দকের (আহজাবের) যুদ্ধ-৪, ১. আল্লাহ মুমিনদের যুদ্ধ করা থেকে রেহাই দিয়েছিলেন (৩৩:২৫]। আসলে, আহজাবের যুদ্ধে মুসলিমদের ইমানের পরীক্ষা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে হয়নি। যখন তাঁরা ইমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তখন আল্লাহই ছিলেন। তাঁদের জন্য যথেষ্ট। তাঁদের যা প্রয়োজন ছিল তিনি (আল্লাহ) তার সবই তাঁদের দিয়েছিলেন । তিনি কোরানে বলেছেন:
আল্লাহ কীভাবে বিজয় দিয়েছিলেন? | খন্দকের (আহজাবের) যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

“যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, তিনি (আল্লাহ) তার জন্য (সংকট থেকে উত্তরণের) পথ করে দেন। আর তাকে তার ধারণাতীত উৎস থেকে জীবনের উপকরণ দান করেন।” [সুরা তালাক, ৬৫:২-৩]
২. আল্লাহ তায়ালা আহজাবের রাতে নুয়ায়েম ইবনে মাসউদের মতো একজন অসাধারণ ও ব্যতিক্রমী ব্যক্তির মনে হঠাৎ ইসলামের আলো জ্বালিয়ে দিলেন; তারপর তাঁকে ব্যবহার করেই আহজাবের লোকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করলেন। আল্লাহ বলেছেন: “যদি আল্লাহ তায়ালা তোমাদের সাহায্য করেন, তাহলে কোনো শক্তিইতোমাদের পরাজিত করতে পারবে না।” [সুরা আলে ইমরান, ৩:১৬০] নুয়ায়েম পরবর্তী সময়ে হিজরত করে মদিনায় বসতি স্থাপন করেন। তিনি ৩৬ হিজরি সালে উটের যুদ্ধে শহিদ হন।

৩. ইহুদিদের ধর্মীয় রীতিনীতি সম্পর্কে কুরাইশদের অজ্ঞতার কারণে শনিবারে সাবাথের বিধানটি তাদের কাছে উদ্ভট বলে মনে হয়েছিল। আবু সুফিয়ান ভেবেছিল, ইহুদিরা চালাকি করে তাকে এসব রীতিনীতির কথা বলছে।
৪. ২৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে টানা অবরোধের কারণে কুরাইশদের খাদ্যের মজুত শেষ হয়ে আসছিল। শুরুর দিকে তাদের মনোবল দৃঢ় থাকলেও এতদিনের অবরোধের ধকলে তারা বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। ফলে তাদের মনোবল কমতে কমতে একেবারে তলানিতে ঠেকেছিল।
৫. আল্লাহও তাঁর ঝোড়োবাতাস এবং ফেরেশতাদের বাহিনী পাঠিয়েছিলেন, যা তিনি কোরানেও [৩৩:৯] উল্লেখ করেছেন। এভাবেই আহজাবের যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে।
আরও পড়ুনঃ