ফেরেশতারা তখনও অস্ত্র নামিয়ে নেননি | বনু কুরায়জা উপজাতি | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

ফেরেশতারা তখনও অস্ত্র নামিয়ে নেননি | বনু কুরায়জা উপজাতি, সেই ভয়াবহ ধূলিঝড়ের পরের দিন সকালে মুসলিমরা ঘুম থেকে উঠে দেখতে পেল, চারদিক নির্জন, কোথাও কেউ নেই, শত্রুপক্ষের সব কয়টি তাঁবু খুলে পড়ে আছে। অর্থাৎ কুরাইশসহ আহজাবের সবাই চলে গেছে। নৰিজিও (সা) বাড়ি ফিরে গেলেন। কারও কারও মতে, সেদিন তিনি তাঁর স্ত্রী উম্মে সালামার বাড়িতে গিয়েছিলেন।

ফেরেশতারা তখনও অস্ত্র নামিয়ে নেননি | বনু কুরায়জা উপজাতি | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

ফেরেশতারা তখনও অস্ত্র নামিয়ে নেননি | বনু কুরায়জা উপজাতি | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

 

বাড়ি ফিরে নবিজি (সা) যুদ্ধের পোশাক পাল্টাননি, এমনকি তলোয়ারটিও জায়গামতো রাখেননি, এরই মধ্যে জিব্রাইল (আ) এসে হাজির। তখন জোহরের সময় হয়ে এসেছে। ইবনে ইসহাকের বর্ণনা অনুসারে, জিব্রাইলের (আ) ছিল নরম রেশমের পাগড়ি, তিনি রেশমের জিনবসানো একটি খচ্ছরের পিঠে চড়ে। তিনি এসেই নবিজিকে (সা) বললেন, “আপনি কি আপনার অস্ত্র নামিয়ে রেখেছেন?” নবিজি (সা) বললেন, “হ্যাঁ।” (কারণ, তিনি তাঁর বর্ম খোলা প্রায় শুরু করেছেন।)

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

জিব্রাইল (আ) বললেন, “ফেরেশতারা এখনও তাদের অস্ত্রগুলো নামায়নি। আমি এইমাত্র (ফেরেশতাদের) আরেকটি দল নিয়ে এলাম । আল্লাহ আপনাকে বনু কুরায়জার কাছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি এখনই সেখানে যাচ্ছি। আমি তাদের জন্য পৃথিবীকে কাঁপিয়ে দেব।” নবিজি (সা) তখন বুঝতে পারলেন যুদ্ধ শেষ হয়নি।

 

ফেরেশতারা তখনও অস্ত্র নামিয়ে নেননি | বনু কুরায়জা উপজাতি | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

তিনি তৎক্ষণাৎ একজন সাহাবিকে পাঠালেন শহরজুড়ে এই বার্তা ঘোষণা করার জন্য: “যারা শুনবে তাদের এটা অবশ্যই মানতে হবে। কেউ বনু কুরায়জার ওখানে যাওয়ার আগে আসরের নামাজ পড়বে না।’ সেখান থেকে বনু কুরায়জার দুর্গ ছিল দুই ঘণ্টার দূরত্বে। তাই সাহাবিদের তখন আর বিশ্রাম নেওয়ার সময় ছিল না। আদেশটি ছিল সরাসরি নবিজির (সা) কাছ থেকে আসা। এই হাদিস সহিহ বুখারি এবং সহিহ মুসলিমে লিপিবদ্ধ আছে।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment