সূরা আশ শুআরা আজকের ভিডিও এর বিষয়। “সূরা আশ-শুআরা (কবিগণ) [ Surah Ash-Shu’ara (Poets) ]” আল-কুরআনের [ Al-Quran ] ২৬তম সূরা বা অধ্যায় [ Surah/Chapter 26], এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২২৭ টি। ২২৪ আয়াত থেকে সূরাটির নামটি গৃহীত হয়েছে।
সূরা আশ শুআরা
(২১৪) তোমার নিকটতম স্বজনবর্গকে তুমি সতর্ক করে দাও।
নবীর আহবান (দাওয়াত) কেবলমাত্র আত্মীয়দের জন্য নয়; বরং তা পুরো জাতির জন্য। আর আমাদের নবী (সাঃ) তো ছিলেন পূর্ণ মানবতার পথ-প্রদর্শক ও সৎপথের দিশারী। তবে নিকট আত্মীয়দেরকে ঈমানের পথে আহবান করা সাধারণ আহবানের বিরোধী নয়। বরং তা দাওয়াতের এক অংশ এবং প্রাধান্যযোগ্য দিক। যেমন, ইবরাহীম (আঃ)ও প্রথমে পিতা আযরকে আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত দিয়েছিলেন। এই আদেশের পর নবী (সাঃ) স্বাফা পাহাড়ের উপর উঠলেন এবং يا صباحاه বলে ডাক দিলেন। এই শব্দ ঐ সময় তারা ব্যবহার করত, যখন হঠাৎ কোন শত্রু আক্রমণ করে বসত।

এ দ্বারা জাতিকে সতর্ক করা হত। মহানবী (সাঃ)-এর এই শব্দ শুনে সবাই একত্রিত হল। তিনি কুরাইশদের বিভিন্ন গোত্রের নাম ধরে ডাকলেন আর বললেন যে, ‘বল, আমি যদি বলি এই পাহাড়ের পিছনে এক শত্রুদল রয়েছে, যারা তোমাদের উপর আক্রমণ করতে চায়, তাহলে তোমরা কি আমার একথা বিশ্বাস করবে?’ সকলেই বলল, ‘হ্যাঁ! অবশ্যই বিশ্বাস করব। (আমাদের অভিজ্ঞতায় তোমাকে মিথ্যাবাদী পাইনি।)’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহ আমাকে সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছেন। আমি তোমাদেরকে এক কঠিন আযাব হতে সতর্ক করছি।’
এ কথা শুনে আবু লাহাব বলেছিল, تبًا لَكَ أَمَا دَعَوْتَنَا إِلاَّ لِهَذَا! ‘তুমি ধ্বংস হও, তুমি কি আমাদেরকে এ জন্যই ডেকেছিলে?’ এর উত্তরে ‘সূরা লাহাব’ অবতীর্ণ হয়েছিল। (বুখারীঃ তাফসীর সূরাতুল মাসাদ) তিনি নিজ কন্যা ফাতেমা (রাঃ) ও ফুফু স্বাফিয়্যাহ (রাঃ) -কেও বললেন যে, তোমরা নিজেদেরকে বাঁচানোর ব্যবস্থা গ্রহণ কর। আমি আল্লাহর নিকট তোমাদের কোন উপকার করতে পারব না। (মুসলিমঃ ঈমান অধ্যায় أنذر عشيرتك الأقربين পরিচ্ছেদ)
সূরা আশ শুআরা সুরা পাঠঃ
আরও দেখুনঃ